লন্ডন : যে ম্যাচটা হতে পারত ওলে গানার সোলসারের বিদায় ম্যাচ, তাতেই সমর্থকদের বিদ্রুপ শুনতে হল নুনো এসপিরিতো স্যানটোকে। টটেনহ্যাম হটস্পারের সমর্থকরা তিন গোলে হারের পর তাদের ম্যানেজারের উদ্দেশে চিৎকার করলেন, ‘‘আপনি জানেন না কী করছেন!”
আরও পড়ুন-ইংল্যান্ডের দৌড় থামাতে চায় শ্রীলঙ্কা
প্রচণ্ড চাপ নিয়ে এই ম্যাচে নেমেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। চার ম্যাচে এক পয়েন্ট। কিছু একটা করতেই হত। ম্যান ইও ম্যানেজার সোলসার তাই ডিফেন্সে তিনজনকে রেখে সামনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে জুড়ে দেন এডিনসন কাভানিকে। এতেই ম্যাজিকের মতো কাজ হয়ে গেল। ম্যান ইউয়ের ৩-০-র জেতা ম্যাচে প্রথম দুটি গোল করেন এই দুই সিনিয়র তারকা। যাঁদের মিলিত বয়স ৭০। বাকি গোলটি দেন মার্কাস রাশফোর্ড। এই ম্যাচে ম্যান ইউ ডিফেন্সের কার্যত কোনও পরীক্ষাই হয়নি। উল্টে রোনাল্ডো বিপক্ষের ডিফেন্স দাপিয়ে বেড়ান গোটা ম্যাচে। ঘরের মাঠে এত খারাপ গত আট বছরে কখনও খেলেনি টটেনহ্যাম। কিছু করতে পারেননি হ্যারি কেনের মতো স্ট্রাইকারও।
এই ম্যাচ হারায় দশ ম্যাচে পাঁচটিতে হারল নুনোর দল। ফলে সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। পচেটিনোর হাতে থাকার সময় এই দল ২০১৬ থেকে ২০১৯-এ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দাপটের সঙ্গে খেলেছে। কিন্তু এখন করুণ অবস্থা। আসলে দ্বিতীয়ার্ধে লুকাস মৌরাকে তুলে নেওয়ার খেসারত দিয়েছে স্পার। আর তাতেই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসেছে ম্যান ইউ। লিভারপুলের কাছে পাঁচ গোল খাওয়ার পর চাকরি যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল সোলসারের। কিন্তু পরের সপ্তাহে আটলান্টার সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের আগে তিন গোলে জয় তাঁকে ও তাঁর দলকে স্বস্তি দিয়েছে। এছাড়া ম্যান সিটির সঙ্গে শনিবার হোম ম্যাচও রয়েছে।
আরও পড়ুন-ফিনিশার আসিফে মজে আছেন হেডেন
যথারীতি এই ম্যাচেও সবার নজর ছিল রোনাল্ডোর উপরে। তিনি ডান পায়ের ভলিতে একটি গোল করেছেন। আর একটি করিয়েছেন। তাছাড়া গোটা ম্যাচে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন সিআর সেভেন। দলের আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনিই। মূলত রোনাল্ডো-ম্যাজিকেই আপাতত চাকরি বেঁচে গেল তাঁর একসময়ের সতীর্থ সোলসারের।