সংবাদদাতা, তমলুক: দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন সময়ে রেল কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ফলাও করে ঘোষণা করে। লেভেল ক্রসিংগুলিতে কড়া নজরদারি এবং রক্ষী নিয়োগের কথাও প্রায়শই শোনা যায় রেলের তরফে। কিন্তু তাদের কথা ও কাজের মধ্যে যে বিস্তর ফারাক রয়েছে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল রবিবার সকালে তমলুক রেল স্টেশন সংলগ্ন কাপাসবেড়িয়া লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার ঘটনা।
আরও পড়ুন-উপাচার্যের স্বৈরাচারে হচ্ছে না পৌষমেলা
হলদিয়াগামী হলদিয়া-পাঁশকুড়া লোকাল ট্রেন একটি মারুতি গাড়িকে ধাক্কা মারলে ভাগ্যের জোরে প্রাণে বেঁচে যান মারুতি চালক। ঘটনার পর ট্রেনটিকে ঘিরে স্থানীয় বাসিন্দারা লেভেল ক্রসিংয়ে গেট লাগানো এবং রক্ষী নিয়োগের দাবিতে প্রবল বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা জানান, রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ একটি প্রাইভেট মারুতি রেললাইন পেরনোর সময় লাইনে আটকে যায়। গাড়ি থেকে নেমে লোকজনকে সাহায্যের জন্য ডাকেন গাড়িচালক। গাড়িতে কেউ ছিলেন না।
আরও পড়ুন-পোস্টার নিয়ে প্রকাশ্যে দিলীপ-হিরণ তরজা
সেই সময় হলদিয়া-পাঁশকুড়া লোকাল ট্রেন চলে আসে। ট্রেন দাঁড় করাতে হাত দেখান মারুতির চালক। কিন্তু ট্রেনটি মারুতিতে ধাক্কা মেরে রেললাইনের উপর বেশ কিছুটা দূরে ঠেলে নিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। দুমড়ে-মুচড়ে যায় মারুতি গাড়িটি। গাড়ি ফেলে পালায় চালক। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ট্রেনটিকে ঘিরে লেভেল ক্রসিংয়ে গেট ও রক্ষীর দাবিতে অবরোধ-বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তমলুক স্টেশন থেকে আরপিএফ পৌঁছলে তাদের ঘিরেও চলে বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন-নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মহিলাদের পাশে রাজ্য
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই লেভেল ক্রসিংয়ে গেটও নেই, রক্ষীও নেই। পরে রেলের আধিকারিকরা এসে দাবিপূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। তমলুকের স্টেশন ম্যানেজার প্রশান্তকুমার রায় বলেন, ‘‘এত ঘন ঘন লেভেল ক্রসিং থাকলে প্রতিটিতে গেট বসানো ও রক্ষী রাখা অসম্ভব। তবুও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলব।’’