২১ জুলাইয়ের নামে চাঁদা তুললেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, কড়া বার্তা অভিষেকের

Must read

২১ জুলাই সমাবেশ তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য ঐতিহাসিক। শহিদ স্মরণে ১৯৯৪ সাল থেকে এই বিশেষ দিনটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনতে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। বছরের পর পর শহিদ তর্পণ হিসেবে এই দিনটি শ্রদ্ধায়, স্মরণে পালন করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গত দু’বছর করোনা মহামারির জন্য তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ পালিত হয়েছে ভার্চুয়ালি। কালীঘাটের বাসভবন থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে। যা সম্প্রচার করা হয়েছিল দলের নেটমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলিতে। প্রতিটি ব্লকে নেতাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার শোনার আয়োজন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
যেহেতু বাংলায় মহামারির প্রকোপ সেই অর্থে আর নেই বললেই চলে। তাই ফের মহাসমারোহে এবার ২১ জুলাই ধর্মতলাতেই পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার জন্যই আজ, শুক্রবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে বৈঠক হয়ে গেল প্রস্তুতি বৈঠক। ছিলেন দলের (TMC)  সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ও রাজ্যস্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব। বেশ কয়েকজন জেলা সভাপতিকেও ডাকা হয়েছিল। এছাড়া ছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও ছাত্র সংগঠনের নেতারাও।

দু’বছর পর ধর্মতলায় হতে চলা একুশে জুলাইকে সর্বাঙ্গীণভাবে সাফল্যমন্ডিত করতে এদিনের সভা থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC- Abhishek Banerjee) একগুচ্ছ নির্দেশ দেন উপস্থিত নেতৃত্বকে। জানা গিয়েছে, এবার একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের নামে কোনও টাকা বা চাঁদা তোলা যাবে না। যদি এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা নেতার বিরুদ্ধে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনকী, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল থেকে বহিষ্কার পর্যন্ত করার হুঁশিয়ারি দেন অভিষেক।

আরও পড়ুন: ত্রিপুরা সুরমা কাণ্ড: গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড বিজেপি নেতা বলাই মালাকার

এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তাঁরা জানান, করোনা মহামারির জন্য গত দু’বছর সমাবেশ করতে করা যায়নি। এই দিনটি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই দিনেই শহিদ তর্পন এবং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আগামীর পথচলার দিকনির্দেশ পায় নেতা থেকে শুরু করে কর্মী-সমর্থকরা। ১৯৯৩ সালে ২১ জুলাই যেহেতু তৎকাকালীন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকরণ অভিযানে পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন ১৩জন রাজনৈতিক কর্মী, তাই তাঁদের স্মরণে এই সমাবেশের মূল আয়োজক যুব তৃণমূল।

এবার ২১ জুলাই আরও বেশি করে কর্মী সমাগম করার লক্ষ্য নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে আরও বেশি করে কর্মী নিয়ে আসার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জঙ্গলমহল থেকেও প্রচুর কর্মী-সমর্থক আসবেন। প্রতিটি বিধানসভা, ব্লকস্তরে প্রস্তুতি সভা করা হবে। এক ঐতিহাসিক জনসমাগম হয়ে উঠবে এবারের একুশে জুলাই। এমনটাই দাবি করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামিকাল থেকেই প্রচার হিসেবে দেওয়াল লেখা, পোস্টারিং শুরু হয়ে যাবে। লক্ষ্য অতীতের সমস্ত রেকর্ড রেকর্ড ভেঙে দেওয়া।

Latest article