প্রতিবেদন : একসময় বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় ছিলেন তিন নম্বরে। পাশাপাশি এশিয়ার একনম্বর ধনকুবের হিসাবে আলোচ্য ছিলেন। কিন্তু হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগ ঘিরে কমেই চলেছে গৌতম আদানির সম্পত্তির পরিমাণ। ধনপতিদের তালিকায় লাগাতার নিচের দিকে নেমে চলেছেন নরেন্দ্র মোদির অতি ঘনিষ্ঠ এই শিল্পপতি। সর্বশেষ, ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় এখন ৩৯ নম্বর স্থানে রয়েছেন আদানি।
আরও পড়ুন-ইচ্ছামতো কি নাম বদল করা যায়? কড়া মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
ফোর্বসের রিয়েল-টাইম ট্র্যাকার অনুসারে, এই মুহূর্তে আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৩.১ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি আদানি গোষ্ঠীর প্রতিদ্বন্দ্বী রিলায়েন্স সংস্থার চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি রয়েছেন ধনকুবেরদের তালিকায় ৮ নম্বরে। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৮৪.১ বিলিয়ন ডলার। ধনপতিদের এই তালিকায় ফের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন টেসলাকর্তা এলন মাস্ক। দুই নম্বরে রয়েছেন বার্নার্ড আর্নল্ট। ২৪ জানুয়ারি মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার দর কমছে দিনেদিনে। কমছে গৌতম আদানির ব্যক্তিগত সম্পদের মূল্য। মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়েছিল, আদানি গোষ্ঠী জালিয়াতি ও প্রতারণার সাহায্যে গত কয়েক দশক ধরে তাদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দর বেশি দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন-হাত বাড়ালেই হোমিওপ্যাথি
সংস্থা তাদের মোট সম্পদের মধ্যে ঋণ করা মূলধনকেও জুড়ে দিয়েছে। ফলে সংস্থার সম্পত্তির মূল্য বেড়েছে। মঙ্গলবারও আদানি গোষ্ঠীর কোনও সংস্থার শেয়ারের দাম বাড়েনি। মোদি ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির মালিকানায় রয়েছে ভারতের সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা। সেইসঙ্গে রয়েছে কয়লা আমদানির ঢালাও অনুমোদন। আদানি নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলি দেশের চাহিদার এক-তৃতীয়াংশের বেশি কয়লা আমদানি করে থাকে। বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, জলের দরে দেশের সম্পদ প্রিয়পাত্র আদানির হাতে তুলে দিয়েছে মোদি সরকার। অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এলআইসি ও এসবিআইকে আদানিদের বিভিন্ন সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আদানিদের সংকটে বিপন্ন বিনিয়োগকারীরাও।