প্রতিবেদন : কথায় বলে গর্ত বোজাতে গর্ত খোঁড়া। মোদি ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির অবস্থাও এখন তেমনই। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মুখ থুবড়ে পড়েছে সংস্থার শেয়ার দর। বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা তো আছেই, সেই দেনার পরিমাণ কমাতে এবার নাকি প্রায় ৩৩১৫ কোটি টাকা ধার করতে চাইছে আদানি গোষ্ঠী। তবে এই মুহূর্তে আদানি গোষ্ঠীকে কেউই ধার দিতে রাজি নয়। শোনা যাচ্ছে, সেজন্য ধার নিতে অস্ট্রেলিয়ায় থাকা কারমাইকেল কয়লাখনি বন্ধক রাখার কথা পরিকল্পনা করেছে গৌতম আদানি গোষ্ঠী।
আরও পড়ুন-হাতির হামলায় জখম শিশুর পাশে বীরবাহা
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, অস্ট্রেলিয়ার ওই কয়লাখনি বন্ধক রেখে ঋণ নিতে চাইছে আদানি গোষ্ঠী। ঋণ করেই আপাতত তারা পুরনো ধার মেটাতে চায়। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ধার মেটাতে নতুন করে ধার নেওয়া এই সংস্থাকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। এই মুহূর্তে খনি বন্ধক রেখে ধার নেবে বললেই আদানিরা যে ধার পাবে তার নিশ্চয়তা নেই। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখছে বিভিন্ন বিনিয়োগকারী সংস্থা। আগামিদিনে যদি দেখা যায়, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি ঠিক নয় তবেই ঋণ মিলবে। ইতিমধ্যেই আদানি গোষ্ঠী বিভিন্ন বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-শিশুদের মাঝে শিক্ষিকার ভূমিকায় সাংসদ
জানুয়ারির শেষ নাগাদ আদানি গোষ্ঠীর মোট মূলধন ছিল প্রায় ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। এই মুহূর্তে তা নেমে এসেছে ৭ লক্ষ কোটি টাকায়। যা আদানিকে ধনকুবেরদের তালিকায় তিন নম্বর থেকে ৩০ নম্বর স্থানে টেনে নামিয়েছে। আদানি গোষ্ঠীর চলতি অবস্থা দেখে অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে আমেরিকার জ্বালানি সরবরাহকারী এনরন সংস্থার কথা। এই সংস্থা একসময় দেনার অঙ্ক কম দেখিয়ে এবং সব ধরনের ব্যবসায়িক ক্ষতি লুকিয়ে মুনাফার পাহাড় দেখিয়েছিল। কিন্তু ওই জালিয়াতি ধরা পড়তেই সংস্থার শেয়ার দরে বিপুল পতন ঘটে। পরিণতি এতটাই খারাপ হয় যে, ২০০১ সালে এনরনকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। আদানিরাও সেই একই পথের পথিক কি না তা ভবিষ্যতে বোঝা যাবে। আপাতত যেভাবে একমাস ধরে নিয়মিত আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন শেয়ার দরের পতন ঘটছে তাতে বিশেষজ্ঞরা অনেকেই এনরন কেলেঙ্কারির সঙ্গে তাদের মিল খুঁজে পাচ্ছেন।