প্রতিবেদন : আদিগঙ্গাকে ফের প্রাণবন্ত করে তুলতে এবারে কোমর বেঁধে নামছে কলকাতা পুরসভা। দীর্ঘ ইতিহাসের সাক্ষী এই আদিগঙ্গাকে আড়াই বছরের মধ্যেই নতুনরূপে তুলে ধরার জন্য শুরু হয়েছে যাবতীয় উদ্যোগ। নেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রকল্প। খরচ ধরা হয়েছে ৬৫৩ কোটি টাকা। নমামি গঙ্গা প্রকল্পে অনুমোদনও মিলেছে এই কাজের। সংস্কারের কাজে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নিকাশি ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের কাজে।
আরও পড়ুন-পথের ধারে লাঞ্চ সেরে কুৎসার জবাব শতাব্দীর
২৩.৬ কিমি জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে অত্যাধুনিক নিকাশি নেটওয়ার্ক। নির্মিত হচ্ছে ৩টি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ৭টি পাম্পিং স্টেশন, ৫টি মিনি সিউয়েজ পাম্পিং স্টেশন। এছাড়াও সংস্কার করা হচ্ছে ১১টি পুরানো পাম্পিং স্টেশন। গড়ে উঠবে ৬টি নতুন পেনস্টক গেট। ইতিহাসের পাতা উল্টালেই ভেসে ওঠে এই নদীকে ঘিরে একসময়ের ব্যস্ততার ছবি। গঙ্গা তার গতিমুখ বদলালেও তাৎপর্য হারায়নি এই আদিগঙ্গা। প্রাচীন কলকাতাও বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে অনেকটাই নির্ভশীল ছিল এই জলপথের উপরে। কিন্তু দিনের পর দিন পলি জমার কারণে ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকে এর প্রাণচাঞ্চল্য। শুধু তাই নয়, মহানগরীর নিকাশি ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এর যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, ম্লান হয়ে পড়ে তাও। সামান্য জোয়ার এলেই ভেসে যায় কালীঘাট এবং সংলগ্ন বিস্তীর্ণ নিচু এলাকা।
আরও পড়ুন-শীতের শহরে সাহিত্যের উষ্ণ ছোঁয়া
বর্ষাকালের ছবিটা আরও উদ্বেগজনক। কলকাতা পুরসভা এই সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিক উদ্যোগ নিলেও স্থায়ী সুফল মেলেনি। সেই কারণে এবারে পুরো বিষয়টিই খোলনলচে বদলে দেওয়ার উদ্যোগ। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নদীর ২৬.৪ কিমি পলিমুক্ত করার কাজে। পুরকর্তৃপক্ষের কাছে প্রাথমিক যে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়েছিল তাতে আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ৯৩৪.৭ কোটি টাকা। পরে অন্য একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থা এই খরচ নামিয়ে আনে ৬৫৩ কোটি টাকায়। এখন শুধু যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরুর পালা।