সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : সম্প্রতি নবান্ন জানায়, রাজ্যের ৯ জেলার ৭২ ব্লকে জলস্তর মারাত্মকভাবে নেমে গেছে এবং ওই এলাকাগুলোর বাসিন্দারা পানীয় জল এবং অন্যান্য কাজে জল পেতে সমস্যায় পড়ছেন। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয় খরাপ্রবণ ব্লকগুলোতে ট্যাঙ্কে বা পাউচে করে পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য। শনিবার থেকে নবান্নের নির্দেশে জেলার খরাপ্রবণ ব্লকগুলোতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জল সরবরাহের কাজ শুরু করল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।
আরও পড়ুন-”সুকান্ত বিজেপি’, ‘দিলীপ বিজেপি’র ফলেই বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের” দাবি কুণাল ঘোষের
গরমকাল পড়তেই মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন ব্লকে ভূগর্ভস্থ জলস্তর নামতে শুরু করেছে। জেলার কয়েক লক্ষ বাসিন্দাও তাই চরম সমস্যায়। জেলা প্রশাসন জানায় রাজ্যের মোট ৩৪৩ ব্লকের ৪২টি ব্লকে জলস্তর ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’ভাবে নেমে গিয়েছে। পাশাপাশি ৩০ ব্লকের ভূগর্ভস্থ জলস্তরের অবস্থা ‘অংশত আশঙ্কাজনক’। মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এই গ্রীষ্মে জেলার ৪টি ব্লকে জলস্তর ‘অত্যন্ত আশঙ্কাজনক’ এবং ১৩টি ব্লকে ‘অংশত আশঙ্কাজনক’।
আরও পড়ুন-বিড়িশ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল রাজ্যের
তাই ওই অঞ্চলের বসবাসকারীরা পানীয় জল পেতে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়ছেন। জলসংকট মেটাতে এগিয়ে এসেছে সুতি ১ ব্লক প্রশাসন। শনিবার বংশবাটি, ডাহিনা, রমাকান্তপুর গিয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ট্যাঙ্কের মাধ্যমে জল সরবরাহ শুরু করে। ফলে গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা অনেকটাই মিটেছে বলে জানান গ্রামবাসীরা। সুতি ১ ব্লকের বিডিও এইচএমআর হক বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয় গ্রামে গিয়ে পানীয় জল সরবরাহ করতে। শনিবার থেকে সুতির একাধিক গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ শুরু করেছি। গোটা গ্রীষ্মকাল জুড়ে এই কর্মসূচি চলবে।’