বিড়িশ্রমিকদের জন্য হাসপাতাল রাজ্যের

বিড়ি মালিক সংগঠনের তরফ থেকে জানা গিয়েছে জিএসটি চালু হওয়ার আগে বিড়ি মালিকদের কাছ থেকে সেস আদায় করত কেন্দ্র।

Must read

সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সামশেরগঞ্জের তারাপুরে বিড়িশ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য গড়া হয়েছিল একটি হাসপাতাল।কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদাসীনতায় বিড়ি-শ্রমিকদের সেই হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না জেলার ৪-৫ লক্ষ বিড়ি-শ্রমিক। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীর অভাবে হাসপাতালটি একপ্রকার বন্ধ হতে বসেছে।

আরও পড়ুন-”সুকান্ত বিজেপি’, ‘দিলীপ বিজেপি’র ফলেই বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের” দাবি কুণাল ঘোষের

এর মধ্যেই আশার আলো দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারাপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালের ঠিক পাশেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নতুন একটি হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য।

আরও পড়ুন-অসম পুলিশের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি বিধায়ক জাকির হোসেন বলেন, ‘তারাপুরে নতুন করে রাজ্য সরকারের হাসপাতাল গড়ে তুলতে পাঁচ একর জমি লাগবে। শিগগিরই এলাকা পরিদর্শনে যাব। তবে ওখানে পর্যাপ্ত জমি আছে। হাসপাতাল নির্মাণে জমির অভাব হবে না। জেলাশাসকের সঙ্গে কথাও হয়েছে। খোঁজ নেব কেন কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমমন্ত্রকের অধীনে থাকা হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং সেখানকার ডাক্তাররা কোথায় গেলেন!’ জাকির বলেন, ‘রাজ্য বিড়ি-শ্রমিকদের জন্য তারাপুরে যে হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সেটি পাঁচতলা এবং এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট হবে। বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে।’

আরও পড়ুন-অসামাজিক কাজ বন্ধে কঠোর পুরপিতা

বিড়ি মালিক সংগঠনের তরফ থেকে জানা গিয়েছে জিএসটি চালু হওয়ার আগে বিড়ি মালিকদের কাছ থেকে সেস আদায় করত কেন্দ্র। তারই একটি অংশ রিলিফ ফান্ডে রেখে হাসপাতালের কাজে লাগানো হত। বিজেপি সরকার বিড়ি শিল্পে ২৮ শতাংশ জিএসটি বসিয়েছে। কিন্তু রিলিফ ফান্ডে কোনও টাকা রাখে না। তাই কেন্দ্র হাসপাতালটি আর চালাতে চায় না। সামশেরগঞ্জ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। ওদের বিরোধী মানসিকতার বলি হচ্ছেন রাজ্যের কয়েক লক্ষ বিড়ি-শ্রমিক।’

Latest article