প্রতিবেদন : ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। তবে এই আন্দোলনের প্রথম সারির নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি সেদিন উপস্থিত থাকুন তা চাননি মোদি ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। আদবানিকে তাই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল অনুষ্ঠানে না আসার জন্য। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। অভিযোগ ওঠে, মোদিময় এই অনুষ্ঠানে আদবানির উপস্থিতি মোদির থেকে নজর ঘোরাতে পারে আশঙ্কাতেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে তাঁকে। সেইসঙ্গে ব্রাত্য রাখা হয়েছে মুরলীমনোহর যোশীর মতো নেতাকেও। শেষপর্যন্ত বিতর্ক এড়াতে ও বিরোধীদের কটাক্ষবাণ থেকে বাঁচতে এবার এই অনুষ্ঠানে আদবানিকে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। ৯৬ বছর বয়সি আদবানিকে অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা বন্দোবস্ত করা দরকার, সবটাই করা হবে বলে জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
আরও পড়ুন-ডিসেম্বরে করোনায় মৃত ১০ হাজার, জানাল হু
রামমন্দির আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন গেরুয়া শিবিরের তথাকথিত ‘লৌহপুরুষ’ আদবানি। তাঁর রথযাত্রা কর্মসূচিতেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। এরপরই ঘটে বাবরি মসজিদ
ধ্বংসের ঘটনা। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আজ যেখানে গড়ে উঠেছে মন্দির। সেই অনুষ্ঠানে প্রথমে আদবানিকেই আমন্ত্রণ জানাতে চায়নি জন্মভুমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। একইভাবে ছেঁটে
ফেলার চেষ্টা হয়েছিল মুরলীমনোহর যোশীকেও। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চরম আকার নিতেই ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়, তাঁদের বয়সের বিষয়টি বিবেচনা করেই উদ্বোধনের
দিন তাঁদের আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সভাপতি অলোক কুমার গিয়ে দুই প্রবীণ নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন।