প্রতিবেদন : আমি দেখতে চাই তোমাদের কত বড় বুকের পাটা! কত হিম্মত! ক্ষমতা থাকলে আমার আর অভিষেকের নাম নিয়ে বিজ্ঞাপন করো। রবিবার বীরভূমের লাভপুরের নির্বাচনী জনসভা থেকে মোদির দল বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জবাব চাইলেন মোদিবাবুর কাছে। একইসঙ্গে তিনি নির্বাচন কমিশন ও সংবাদমাধ্যমকেও দিলেন বার্তা।
আরও পড়ুন-লাভপুরের সভা থেকে নস্টালজিক মুখ্যমন্ত্রী
রোজ কাগজে বিজ্ঞাপন : এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রোজ কাগজে এখন বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। একশো দিনের কাজের টাকা ছিল না। তিন বছর ধরে একশো দিনের টাকা কেন দেননি? সাড়ে তিনশো কেন্দ্রীয় টিম পাঠিয়েছেন। আমি বলেছিলাম বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র আর বাংলার রিপোর্ট কার্ড সামনে নিয়ে আসুন। আপনারা জানতেন এখানে কিছু হয়নি। একটা পঞ্চায়েতে কে একটা ছোট্ট ঘটনা ঘটাল, তার জন্য রাজ্যবাসী দায়ী হয় না।
মোদিবাবু জবাব দাও : তিনি বলেন, তৃণমূল নাকি দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। আর তোমরা তো ডাকাত। তোমরা কয়লা মাফিয়া। তোমরা গরু আর কয়লার টাকা খাও। কয়লা সিআইএসএফ দেখে, গরু দেখে বিএসএফ। তাহলে টাকা খায় কে? কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা খায়। মোদির মন্ত্রীরা খায়। বিজেপির পার্টি লিডাররা খায়। বিজেপি দেশটাকেই বিক্রি করে দিয়েছে, জেলখানা করে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, পিএম কেয়ারের টাকা কোথায় গেল? কোভিডের ইঞ্জেকশনে কত টাকা খেয়েছ? জবাব দাও মোদিবাবু। আমরা বিজ্ঞাপন করতে পারছি না, কারণ আমাদের অত টাকা নেই।
আরও পড়ুন-‘বাংলার মা, বোনেদের আত্মসম্মান নিয়ে এই খেলাটা খেলবেন না’ বোলপুর থেকে বিরোধীদের আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর
এটা বিজ্ঞাপন হতে পারে : তাঁর কথায়, যে সংবাদমাধ্যমগুলো এগুলো ছাপাচ্ছেন টাকার জন্য, তাঁরা কি একবার দেখেছেন, সেখানে প্রচারকের নাম নেই। দিয়েছে বিজেপি পার্টি অফিস থেকে প্রকাশিত। এগুলো বেআইনি। ইলেকশন কমিশনকে বলব, আপনারা বেআইনি কাজ করছেন। এসব করেছেন বিজেপিকে মদত দিতে। এগুলো আমরা করলে আপনারা করতে দিতেন না। একজন ইলেকশন কমিশনার যে ছেড়ে চলে গিয়েছিল, তার অনেক কারণ ছিল। এটা কখনও ইলেকশনের বিজ্ঞাপন হতে পারে!
ধিক্কার জানাই : মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদমাধ্যমগুলোকেও আমি ধিক্কার জানাই। টাকার জন্য বিজ্ঞাপন না পড়েই দিয়ে দেবেন? যদি কোনওদিন কেউ বিজ্ঞাপন দেয়, বিষ খেয়ে মরতে চাই? না পড়ে দিয়ে দেবেন? এগুলো তো আপনাদেরও দোষ। আপনারা অস্বীকার করতে পারেন না। যাই হোক, আইনে যখন যাব, তখন আইন আইনের পথে চলবে।