প্রতিবেদন : তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর নয়দিন কেটে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৩৮ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে তুরস্কের মৃত্যু হয়েছে ৩২ হাজার মানুষের। সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। উদ্ধারকাজ প্রায় শেষ লগ্নে। উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, এরপর আর কাউকেই বোধহয় জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপের তলায় জীবিত অবস্থায় কেউ পড়ে আছেন কি না তা জানতে উদ্ধারকারীরা স্নিফার ডগ এবং থার্মাল ক্যামেরা ব্যবহার করছেন।
আরও পড়ুন-পড়েই চলেছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার দর
তবে মঙ্গলবারই ২০৩ ঘণ্টা পর প্রাণের খোঁজ মিলেছে তুরস্কের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত হাটায় শহরে। এদিন প্রায় ২০৩ ঘণ্টা পর এক মহিলাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর জখম ওই মহিলা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিন রাষ্ট্রসংঘের শিশু সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান জেমস এল্ডার জানিয়েছেন, এই ভূমিকম্পে তুরস্কের প্রায় ৪৬ লক্ষ এবং সিরিয়ার ২৫ লক্ষ শিশুর উপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভূমিকম্পকে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেছে। চলতি বিপর্যয় মোকাবিলা করতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল আসাদ রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিদেরও অবাধে ঢোকার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-উদ্বোধনী ম্যাচেই মুম্বই বনাম গুজরাট
রাষ্ট্রসংঘের অনুমান, এই ভূমিকম্পে সিরিয়ায় প্রায় ৫৪ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। তুরস্কে উদ্ধারকাজে ভারতের তরফে একাধিক প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে। পাঠানো হয়েছে ডগ স্কোয়াডকেও। ডগ স্কোয়াডের দুই সদস্য রোমিও ও জুলি কার্যত তুরস্কে নায়কের মর্যাদা পাচ্ছে। এই দুই সারমেয়র চেষ্টায় উদ্ধার হয়েছে একাধিক জীবিত মানুষ। যন্ত্রে জীবিত মানুষের অস্তিত্ব ধরা না পড়লেও, জুলি ও রোমি বেশ কয়েকজনকে খুঁজে বের করেছে। তুরস্কে মৃতের সংখ্যা এতটাই বেশি হয়েছে যে সমাধিক্ষেত্রে জায়গা হচ্ছে না। তাই চলছে গণকবর দেওয়ার প্রস্তুতি।