সুমন করাতি, হুগলি: হুগলির ত্রিবেণী সঙ্গমে মহাকুম্ভ মেলা, ৭০৩ বছর পর— ১২, ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি। বহুকাল পূর্বে গঙ্গাসাগর থেকে ফেরার পথে সাধুসন্তরা পায়ে হেঁটে এই ত্রিবেণী মহাসঙ্গমে আসতেন। কুম্ভে অংশ নিতেন। নানা প্রতিবন্ধকতায় বন্ধ হয়ে যায় প্রাচীন মহা-উৎসব। দেশের চার জায়গায় কুম্ভমেলা হয়— নাসিক, উজ্জয়িনী, প্রয়াগরাজ এবং হরিদ্বার। ১২ বছর অন্তর হয় কুম্ভমেলা।
আরও পড়ুন-অণ্ডালে ১২৫ নাগরিককে প্রকল্পের সুবিধা
গত বছর থেকে ত্রিবেণী কুম্ভ পরিচালনা সমিতির উদ্যোগে পঞ্চমস্থান হিসেবে হুগলির ত্রিবেণীতে কুম্ভমেলা হচ্ছে। মূলত তিনটি ঘাটে স্নানপর্ব চলবে— মূল ঘাট বা শ্মশানঘাট, যা নেতাধোপানির ঘাট নামে পরিচিত, ওইং ক্লিং ঘাট ও সপ্তঋষি ঘাট। ত্রিবেণী কুম্ভ পরিচালন সমিতি জানিয়েছে, শাহিস্নান ১৩ তারিখ, মাঘী সংক্রান্তির দিন, বাংলার ২৯ মাঘ, সকাল নটার পর প্রথমে সন্ন্যাসীরা স্নান সারবেন, তারপর পুণ্যার্থী। গত বছর প্রায় ৩০-৪০ হাজার মানুষ ও এক হাজার সন্ন্যাসী পূর্ণস্নান করেন। এ বছর ব্যাপক প্রচারের জেরে আশা করা হচ্ছে, সংখ্যাটা লাখ ছাড়াবে। নাগাসন্ন্যাসীরাও আছেন। স্থানীয় শিবপুর মাঠ ও আরও দুটি মাঠে সন্ন্যাসীদের যজ্ঞস্থল করা হচ্ছে, যেখানে মানুষ আশীর্বাদ নিতে পারবেন। মেলার জন্য পুর প্রশাসন রাস্তাঘাট ও ঘাটগুলি মেরামত করে আলোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। থাকছে বায়ো টয়লেট।