সংবাদদাতা, কাটোয়া : হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার আট দিনের মাথায় মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে স্বামীর কবজি কেটে নেওয়া কাণ্ডের শিকার গৃহবধূ রেণু খাতুন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে চাকরিতে যোগ দিলেন। ওই দফতরের নার্স গ্রেড ২-এর কাজে যোগ দেন তিনি। যোগদানের পর অদম্য মনোবলসম্পন্ন রেণুকে সংবর্ধনা জানান দফতরের সহকর্মীরা।
জেলার সিএমওএইচ প্রণব রায়ের কাছ থেকে এর পর নিজের কাজের দায়িত্ব বুঝে নেন রেণু। নতুন কোনও নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই দফতরেই কাজ করবেন তিনি বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, তাঁর সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়া আটকাতেই ৪ জুন রাতে অন্যদের মদতে স্ত্রী রেণুর কবজি কেটে নেয় পাশবিক স্বামী শের মহম্মদ। ঘটনার কথা জানামাত্র রেণুর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর চিকিৎসা ও চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে সক্রিয় উদ্যোগ নেন স্বয়ং মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ জন্য কাজে যোগ দিয়ে তাঁকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাও জানান রেণু।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরা উপনির্বাচনের শেষদিনের প্রচার মাতিয়ে দিলেন মিমি-শত্রুঘ্ন
অন্যদিকে, মঙ্গলবারই কবজি কাটার ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত স্বামী শের মহম্মদ-সহ মদততদাতা চাঁদ মহম্মদ, আসরফ আলি শেখ ও হাবিব শেখকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় কাটোয়া মহকুমা আদালত। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাইয়ের আবেদনও মঞ্জুর করেন অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক। ভাড়ার গাড়ির চালক ও এক গ্রামবাসীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় আদালতে। ৪ জুন রাতের ঘটনায় ভাড়া করা গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে চালককে আটক করে পুলিশ।