আবার কৃষ্ণাঙ্গ খুন করল পুলিশ, ঘাড়ে পা চেপে ধরে মেরে ফেলল আইনের রক্ষকরাই

ফিরে এল ৪ বছর আগের সেই স্মৃতি। মার্কিন পুলিশের হাঁটুর চাপে দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড।

Must read

প্রতিবেদন : ফিরে এল ৪ বছর আগের সেই স্মৃতি। মার্কিন পুলিশের হাঁটুর চাপে দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড। ভয়াবহ সেই ঘটনার প্রতিবাদে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের বর্ণবৈসম্যের নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল গোটা মার্কিন মুলুক। আমেরিকায় যে কৃষ্ণাঙ্গদের যে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রাখা হয়, সেই প্রচার তুলে সরব হয়েছিলেন মানবাধিকার কর্মীরা। লাগাতার আন্দোলনের চাপে অভিযুক্তদের পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় মার্কিন প্রশাসন। কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েডের গলা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছিলেন ডেরেক শভিন নামের এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। খুনের অভিযোগে শভিন এখন জেল খাটছেন। সেদিনের সেই ঘটনার পরেও প্রশাসনের একাংশের মনোভাব যে বদলায়নি তা আবার দেখা গেল। পুলিশি নিগ্রহে ফের এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যুর অভিযোগ উঠল আমেরিকায়। সেইসঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের একাংশের বর্ণবিদ্বেষী আচরণ সমালোচনার কেন্দ্রে।

আরও পড়ুন-মে দিবসের গল্প

আমেরিকার ওহায়োতে ৫৩ বছরের কৃষ্ণাঙ্গ ফ্র্যাঙ্ক টাইসনকে মাটিতে উপুড় করে ফেলে তাঁর ঘাড়ের কাছে চেপে ধরেন এক পুলিশ অফিসার। ঘটনাস্থলেই টাইসনের শ্বাসরুদ্ধ হয়ে গেলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রশ্ন উঠছে, নির্দিষ্ট কোনও ঘটনা নিয়ে কারুর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে মেরে ফেলছে এমন বেআইনি কাজ বারবার গণতন্ত্রের পীঠস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হচ্ছে কীভাবে? ঘটনাচক্রে প্রতিক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, বেআইনি অত্যাচারের শিকার যাঁরা হচ্ছেন তাঁরা কৃষ্ণাঙ্গ। ফলে মার্কিন মুলুকে বর্ণবৈষম্যবাদ যে এখনও শিকড় গেড়ে রয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

আরও পড়ুন-আজ রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স

টাইসনের মৃত্যুর ভিডিওটি ঘটনাস্থলে থাকা এক পুলিশের বডিক্যাম থেকে পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার দিন বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে টাইসনের গাড়ি। তিনি পালিয়ে সংলগ্ন পানশালায় ঢুকে পড়েন। সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। এরপর একজন পুলিশ টাইসনের ঘাড় হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, টাইসন বলছেন, আমি শ্বাস নিতে পারছি না। আমার ঘাড় থেকে পা নামাও। বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর নেতিয়ে পড়েন ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি। বেগতিক দেখে পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ততক্ষণে টাইসন মৃত। ফ্লয়েডের পর টাইসনের এই মৃত্যু আমেরিকায় বর্ণবিদ্বেষের চিত্রটা আবার তুলে ধরল।

Latest article