প্রতিবেদন : রাফা সীমান্ত দিয়ে দক্ষিণ গাজায় আটকে থাকা প্যালেস্টিনীয় শরণার্থীদের আন্তর্জাতিক ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেবে মিশর। সে দেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাতাহ আল সিসির সঙ্গে বুধবার রাতে কথা হয় ইজরায়েল সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। বাইডেন জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে শরণার্থীদের জন্য ২০টি ট্রাকে করে ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেবে মিশর। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাতাহ ত্রাণ পাঠানোর বিষয়ে শর্ত আরোপ করেছেন।
স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী যদি শরণার্থীদের জন্য পাঠানো ত্রাণ ব্যবহার করে তাহলে গাজায় আর কোনও ত্রাণ সাহায্য পৌঁছতে দেওয়া হবে না। ওই ত্রাণ যাতে শুধুমাত্র প্যালেস্টিনীয় জনতাই ব্যবহার করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংস্থার হিসেবে ১৩ দিনের প্রবল সংঘাতে এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া হয়েছেন ১০ লক্ষ গাজাবাসী। এই বিরাট সংখ্যক শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য দৈনিক ১০০ ট্রাক ত্রাণ সামগ্রী পাঠাতে হবে। গাজা সীমান্ত পার হয়ে হামলাকারী হামাস যোদ্ধারা ইউনিসেফের পাঠানো মেডিক্যাল কিট ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেছিল ইজরায়েল। এমনকী সেই সময় অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠাতেও তারা বাধা দেয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-উৎসব মরশুমে ১২৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দের বাজিতে ছাড় পর্ষদের
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সফরের ঠিক আগে গাজার উপরে বিধিনিষেধ কঠোর করে ইজরায়েল। প্যালেস্টিনীয় বাসিন্দাদের জল, খাদ্য, বিদ্যুৎ, গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। গাজার হাসপাতালে ইজরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলায় ৫০০-র বেশি প্যালেস্টিনীয় নিহত হয়েছেন। যদিও ইজরায়েল নিজেদের দায় মানতে চায়নি। হামাস জঙ্গিদের দিকেই হামলার জন্য আঙুল তুলেছেন সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্টও। জটিল এই পরিস্থিতিতে গাজায় আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছে দিতে এবার নয়া শর্ত মিশরের।