জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আগামিকাল শনিবার কার্যত বন্ধ থাকছে দিল্লির এয়ারস্পেস। সেই কারণে শুক্রবার বিকেলেই দিল্লি পৌঁছচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। জি ২০ শীর্ষ (G20 Summit) বৈঠকের আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার জন্যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনও বাণিজ্যিক বিমান, কার্গো কিংবা সরকারি কোনও বিমানকে দিল্লিতে নামতে দেওয়া হবে না বলেই জানানো হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে শনিবারের নৈশভোজ অনুষ্ঠানের জন্য আজ দিল্লিতে পৌঁছে যেতে হচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেওয়া নৈশভোজে যোগ দিতে রাজধানীতে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলা ওই নৈশভোজে বিরোধী শিবিরের অন্যান্য নেতা-নেত্রীরাও যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সকালেই রাজ্যে ফিরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নৈশভোজে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
আরও পড়ুন- বাংলার মানুষ মত জানালো, শীঘ্রই গোটা দেশও তার পছন্দ জানাবে: ধূপগুড়িতে তৃণমূলের জয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী
৯ সেপ্টেম্বরের সেরিমোনিয়াল ডিনারে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার-সহ অনেকেই উপস্থিত থাকবেন ওই নৈশভোজে। প্রসঙ্গত এই নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যেখানে লেখা আছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’।
উল্লেখ্য নিরাপত্তার কারণে কোনও মুখ্যমন্ত্রীই নিজেদের গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না নৈশভোজে উপস্থিত হওয়ার জন্য। এমনকি কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও নিজের বা সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে সম্মেলনস্থলে (G20 Summit) যেতে পারবেন না। লুটিয়েন দিল্লির বিভিন্ন পয়েন্টে শাটল ব্যবস্থা থাকবে। যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সম্মেলন স্থলে পৌঁছাতে হবে। বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের জন্য পার্লামেন্ট হাউস থেকে বাসের ব্যবস্থা থাকবে। সেখান থেকেই সন্ধেয় দিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপমে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন তাঁরা। এছাড়াও সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরাও এই সম্মেলনে থাকবেন।