এবার পুজো মাতাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর অ্যালবাম

Must read

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ও সুর-করা গান রীতিমতো সুপার-ডুপার হিট। বাংলা ও মুম্বইয়ের প্রথিতযশা শিল্পীরা তাঁর লেখা ও সুরে গান গেয়েছেন। পুজোর দিনগুলোয় কলকাতা ও জেলার মণ্ডপে সেই গান শোনা গিয়েছে। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ও সুরে জিৎ গাঙ্গুলি, বাবুল সুপ্রিয় (মন্ত্রী), শ্রীরাধা বন্দোপাধ্যায়, মনোময় ভট্টাচার্য, চন্দ্রিকা, তৃষা পারুইয়ের মতো খ্যাতনামা শিল্পীরা গান গেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং একটি গান গেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন প্রখ্যাত কীর্তন শিল্পী ও বিধায়ক অদিতি মুন্সি এবং মন্ত্রী-গায়ক ইন্দ্রনীল সেন। এ-ছাড়াও ইন্দ্রনীল সেনের গতবারের মতো এবারও ৮টি গান রয়েছে অ্যালবামে। মহালয়ায় জাগোবাংলার উৎসব সংখ্যা (Album of Mamata Banerjee) প্রকাশের দিন নজরুল মঞ্চে সেই সিডিরও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে গেলেই এখন সেই গান শোনা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: আমার বলার কিছু আছে

বাংলা থেকে বিশ্বজনীন, মানুষের কথা ফুটে উঠছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানে। ‘টাক ডুমাডুম ডুম’ (Album of Mamata Banerjee) গানটি গেয়েছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ও বিধায়ক-কীর্তন গায়িকা অদিতি মুন্সি। ‘আকাশ যেখানে নীলিমায় নীল/শরৎ সেখানে…’। ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে লেখা গান ‘ধ্রুবতারা তুমি কেন এলে না…’ যেমন আছে তেমনি ইন্দ্রনীল সেনের গাওয়া ‘ঢাক বাজে, মাদল বাজে, ধামসা বাজেরে’ এই গানটি আক্ষরিক অর্থে উৎসবের আমেজ এনে দিয়েছে। বিশেষ করে গানের কথায় যেখানে মমতা লিখেছেন, ‘পাহাড় জাগে, মাটি জাগে, বাঁশি বাজেরে…’ কথাগুলি তাঁর সুর ও শব্দবন্ধ শুনলে গোটা বাংলার প্রকৃতি ও সৌন্দর্যের কথা ফুটে উঠেছে। এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গানের কথায় ‘হামরো পাহাড়’ বলে দার্জিলিংয়ের মানুষকে সুরের হৃদয়ে স্থান দিয়েছেন। সুরের মালায় কার্শিয়াং, মিরিক থেকে লালমাটিকে বেঁধে দিয়েছেন। জিৎ গাঙ্গুলি গেয়েছেন ‘আমি সংগীতের পিয়াসী’। এই অ্যালবামটির নাম দেওয়া হয়েছে উৎসবের গান।

Latest article