প্রতিবেদন : গত সপ্তাহেই উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট ঘোষণার দিন কমিশন জানিয়েছিল, ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, রোড-শো বন্ধ থাকবে। করোনাজনিত কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। শনিবার সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হল। গোটা দেশেই বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জমায়েতে ফের কিছুটা রাশ টানার চেষ্টা কমিশনের। একইসঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকের ক্ষেত্রেও কিছু শর্ত আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সর্বাধিক ৩০০ জনকে নিয়ে অথবা যে কক্ষে ঘরোয়া সভা বা সমাবেশ হবে তার আয়তনের অনুপাতের উপর নির্ভর করে ৫০ শতাংশ মানুষকে নিয়ে বৈঠক করা যাবে। অন্যথায় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর কর্তৃক নির্দিষ্ট করে দেওয়া সেই সংখ্যক মানুষকে নিয়ে বৈঠক করতে হবে।
আরও পড়ুন-রাজধানীর ট্র্যাকে পিলার, ধাক্কা খেয়ে থামল ট্রেন
গত ৮ জানুয়ারি পাঁচ রাজ্যের ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে গিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র বলেছিলেন, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে ১৫ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল এবং অন্য রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়বে কি না সেটি পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই অবস্থান অনুযায়ী শনিবার সকাল ১১টা থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা একের পর এক বৈঠক করেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে প্রথম বৈঠকটি হয়। এরপর ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনাররা।
আরও পড়ুন-রাবণের ক্ষোভ
ওই বৈঠকের পরই কমিশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে সব ধরনের মিটিং-মিছিল, সভা-সমাবেশ ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকবে। ফের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট পাঁচ রাজ্যে করোনার সংক্রমণ যথেষ্ট উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। উত্তরপ্রদেশে গত কয়েকদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বিপুল বেড়েছে। পাঞ্জাবের ১৬টি জেলায় করোনা পজিটিভিটির হার ৫ শতাংশেরও বেশি। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
আরও পড়ুন-শৈত্যপ্রবাহের দোসর এবার কুয়াশা, বৃষ্টিও
করোনাজনিত পরিস্থিতিতে এলাহাবাদ ও উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট ভোট পিছোনোর জন্য কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছিল। যদিও কমিশন সেই পরামর্শ কানে তোলেনি। পাল্টা বলেছে, সংবিধানে উল্লিখিত নিয়ম মেনে সময়মতো নির্বাচন হওয়া দরকার। সম্প্রতি করা এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বেশিরভাগ মানুষই অবিলম্বে সব ধরনের প্রচার নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।