শনি ও রবিবার খোলা রাজ্যের সব ট্রেজারি

বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্থ দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল আগামী শনি ও রবিবার ছুটির দিনেও খোলা থাকবে ট্রেজারি এবং সরকারি দফতরের পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিস।

Must read

প্রতিবেদন : এবার অর্থ বছর শেষ তিনদিন আগেই। যার জেরে সমস্যায় পড়েছিল রাজ্য সরকারের বেশ কিছু দফতর। তাই শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করল নবান্ন। বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্থ দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল আগামী শনি ও রবিবার ছুটির দিনেও খোলা থাকবে ট্রেজারি এবং সরকারি দফতরের পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিস।

আরও পড়ুন-পরিষেবা-পরিচ্ছন্নতা তলানিতে, দুঃসহ ধৌলি-যাত্রা

খাতায় কলমে ২৩-২৪ আর্থিক বছরের শেষ দিন ৩১ মার্চ। কিন্তু নবান্ন সূত্রের খবর শুক্র থেকে রবি পর পর ৩ দিন ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবারই সরকারিভাবে অর্থবর্ষের শেষ দিন বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। আর তার জেরে বকেয়া বাজেট খরচ করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে যায় বেশ কিছু দফতর। সেই সব দফতরের মধ্যে রয়েছে পূর্ত, পরিবহণ, সেচ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি-সহ আরও কয়েকটি দফতর। রাজ্যের সব দফতরকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এদিন বিকেল ৪টের পর আর নতুন করে কোনও বিল জমা দেওয়া যাবে না। এমনকী ট্রেজারি বা পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসেও কোনও আর্থিক লেনদেন হবে না। এভাবে টানা ৩ দিন ট্রেজারি বন্ধ থাকায় সংশোধিত বাজেটের খরচ নিশ্চিত করা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। তাছাড়া এই দফতরগুলিকে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে থেকে সব আর্থিক লেনদেন বন্ধ হওয়ায় সমস্যা বাড়ে। বিভিন্ন দফতরের তরফে এনিয়ে অর্থ দফতরের কাছে দরবার করা হয়। তার পরেই সিদ্ধান্ত বদল। বিকেলে অর্থ দফতর নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় শনি ও রবিবার ট্রেজারি এবং অ্যাকাউন্টস অফিসগুলি খোলা থাকবে। রবিবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত সেখানে বিলপত্র জমা দেওয়া যাবে। এই নির্দেশের পরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন বিভিন্ন দফতরের কর্তারা।

আরও পড়ুন-যখন মানুষের সঙ্গে মনের মিল, ভাষা আর বাধা নয়, বহিরাগত নিয়ে পাল্টা ইউসুফের

এ বছর যে রাজ্য সরকারের অর্থবর্ষ ২৮ তারিখেই শেষ হচ্ছে, তা বহু আগেই সব দফতরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অর্থ দফতরের নির্দেশিকা তাদের হাতে আসার পরেই তা মেনে কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু পূর্ত, পরিবহণ, সেচের মতো দফতরগুলিকে জেলাভিত্তিক প্রতিদিন কোনও না কোনও নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে অনেক কাজ করতে হয়। সেই সব কাজ করতে বহু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সুযোগ-সুবিধার কথা মাথায় রাখতে হয়। সে ভাবেই ট্রেজারির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। আচমকা ২৮ মার্চ অর্থবর্ষ শেষ হয়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।

Latest article