অন্ধ্র প্রদেশের (Andhra Pradesh) আনাকাপাল্লেতে থাকতেন এই ১৭ বছরের কিশোরী। এই বছরই কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বাড়ি দূরে হওয়ায় হস্টেলে থাকতেন। কিন্তু হোস্টেল জীবন মোটেই তার কাছে সুখকর হল না। দিনের পর দিন সহ্য করতে হয়েছে অত্যাচার। বাড়ি থেকে দূরে পড়তে এসে যে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে, সতেরো বছরের কিশোরী কাছে সেটা ছিল কল্পনাতীত। এরপরেই কলেজের বিল্ডিং থেকেই ঝাঁপ। আত্মহত্যার আগে পরিবারকে মেসেজ করে কিশোরী জানায়, কলেজে সে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছে। অভিযুক্তরা তাঁর নগ্ন ছবি তুলে রেখেছে, যার ফলে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছেও অভিযোগ জানাতে পারেনি সে। বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-বিজেপির ইস্তেহার কমিটিতে বাংলার কেউ নেই, সরব কুণাল ঘোষ
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফোন আসে। জানা যায় কিশোরীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ি থেকে ফোন করলেও, ফোন ধরেনি সে। পরিবার পুলিশে খবর দেন।শুক্রবার রাত ১২টা ৫০ মিনিট নাগাদ উত্তর আসে দীর্ঘ একটি মেসেজের মাধ্যমে। লেখা রয়েছে, “আমার জন্য চিন্তা করো না। আমি কেন চলে যাচ্ছি, তা বলতে পারব না, আর বললেও তোমরা বুঝবে না। দয়া করে ভুলে যাও আমাকে। মা-বাবা, তোমরা আমায় জন্ম দিয়েছো, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ, কিন্তু আমার অধ্যায় এখানেই শেষ হল।” বাবার উদ্দেশ্যে তিনি লেখেন, “বাবা তুমি হয়তো প্রশ্ন করতে পারো যে কেন এই পদক্ষেপ করলাম, কেন ফ্যাকাল্টিকে অভিযোগ জানালাম না। ওরা কোনও সাহায্য করতে পারত না। ওরা (হেনস্থাকারী) আমার ছবি তুলে রেখেছে আর হুমকি দিচ্ছে। অন্য় মেয়েদের সঙ্গেও একই কাজ করছে। আমরা কাউকে বলতে পারছি না, এদিকে কলেজও ছাড়তে পারছি না। আমি যদি অভিযোগ করি, তাহলে আমার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে। আমি চলে গেলে হয়তো তোমরা কয়েক বছর কষ্ট পাবে, কিন্তু থাকলে সারা জীবনই আমার দিকে তাকিয়ে দুঃখ পাবে।”
আরও পড়ুন-জন্মদিনে অনলাইনে কেকের অর্ডার, খেয়ে মৃ.ত্যু ১০ বছরের মেয়ের
পরিবারের সদস্যরা এই মেসেজ পেতেই তাঁকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ পৌঁছনোর আগেই কিশোরী কলেজ বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দেয়। কিশোরীর আত্মহত্যার পরই কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়, মেয়েদের হস্টেলে কোনওভাবে ছেলেরা ঢুকতে পারে না। ওয়ার্ডেনও মহিলা। তাই যৌন হেনস্থার কোনও সম্ভাবনা নেই।