রবিবার পুরভোট শুরু হতেই একের পর এক ইভিএম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। মানুষের সমর্থন না পেয়ে ইভিএম ভেঙে ভোটে জেতার এটা নতুন কোন কৌশল নিল কিনা বিজেপি সেই নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। ইতিমধ্যেইও বারাসত ও বসিরহাটে ভোট চলাকালীন ইভিএম ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে।
আরও পড়ুন-চেন্নাই ছেড়ে ধোনিদের প্রস্তুতি শিবির সুরাটে
অন্যদিকে বুথে বসতে না দেওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ভাটপাড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বুথেও উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানেও ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। তবে প্রার্থী নয়, তাঁর দলবল ইভিএম ভেঙেছেন বলে অভিযোগ।যদিও এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডেও ইভিএম ভেঙে ফেলেছেন বলে দাবি করেন বিজেপি প্রার্থী সুবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যদিও ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার দাবি করেন, ইভিএম-এর কোনও ক্ষতি হয়নি৷
আরও পড়ুন-ইংল্যান্ডের কোচ হতে চান ওয়ার্ন
রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় রাজ্য পুলিশ বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় চলছে ভোটগ্রহণ। বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি উঠে এসেছে এরমধ্যেই । বুথ দখল এবং ইভিএম ভাঙার অভিযোগ ওঠে বসিরহাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযোগ, বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার সময় এই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দলবল নিয়ে নিজেই ইভিএম ভেঙে দেন৷ যদিও বুথের সেক্টর অফিসার জানিয়েছেন, বুথে এসে বিজেপি প্রার্থী দেখেন ভোটারদের লাইন ছিল না৷ শুধু ভিতরে একজনই ছিল৷ সেই ভোটারকে চলে যেতে বলা হয়৷এরপরই বিজেপি প্রার্থীর নির্দেশমত কয়েকজন ভিতরে ঢুকে ইভিএম ভাঙচুর করে৷ এই সময়ের মধ্যে ৩০টির মতো ভোট পড়েছিল৷ এই ঘটনার পর ওই ওয়ার্ডের ভোটদান সাময়িক বন্ধ থাকে৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
আরও পড়ুন-জেতা-হারায় দলের পরিবর্তন ঠিক হয় না, দাবি রোহিতের
অন্যদিকে বারাসত (Barasat) ৭ নং ওয়ার্ডে বুথে ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। আছাড় মেরে ইভিএম ভাঙলেন বিজেপি প্রার্থী বলে সূত্রের খবর।
অভিযোগ, বারাসত (Barasat) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের স্কুলের বুথে বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এরপরই বুথে ঢুকে বিজেপি প্রার্থী আছাড় মেরে ভাঙেন ইভিএম। তবে এই ঘটনা মানতে রাজি নন প্রার্থী। স্থানীয়দের অভিযোগ, সকাল থেকেই বিজেপি প্রার্থী এখানে অশান্তির চেষ্টা করছিলেন।