নয়াদিল্লি : আমেরিকা থেকে ড্রোন (Drone) কেনার ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ, শুধুমাত্র গুজরাতকে সামনে রেখেই বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে ড্রোন কিনছে মোদি সরকার। রাফাল চুক্তির মতোই এই ড্রোন চুক্তিরও পিছনে বড়সড় দুর্নীতি। গত সপ্তাহে মোদির মার্কিন সফরে সে-দেশ থেকে ড্রোন কেনার একটি বড়সড় চুক্তি হয়েছে। ভারতীয় টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ২৯,০০০ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী আমেরিকা থেকে ৩১টি ড্রোন কিনবে ভারত। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই সেই ড্রোন (Drone) ভারতে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, মার্কিন সফরে বিনিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গুজরাতকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। গুগল এবং মাইক্রনকে গুজরাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখেল বলেছেন, গুজরাতের গান্ধীনগরে গুগল এবং আমেদাবাদে মাইক্রন বিনিয়োগ করবে। সাকেত প্রশ্ন করেছেন, ২৭টি রাজ্যকে উপেক্ষা করে কেন শুধুমাত্র গুজরাতে বিনিয়োগে টানতে আগ্রহী প্রধানমন্ত্রী? ৯ বছরে মোদি কি এখনও বুঝতে পারেননি যে, তিনি গুজরাতের নন, সারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বিদেশি বিনিয়োগ থেকে কি অন্য রাজ্যগুলি কর্মসংস্থান আশা করতে পারে না? মার্কিন সংস্থা জেনারেল অটোমিক্স প্রতিটি ড্রোনের দাম নিচ্ছে ৮১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৩১টি ড্রোন কিনতে খরচ হবে ২৫,২০০ কোটি টাকা। কংগ্রেসের দাবি, এর মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ খরচে ডিআরডিও একই ধরনের ড্রোন তৈরি করতে পারে। কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, কেন বেশি খরচ করে ড্রোন কেনা হচ্ছে? এই চুক্তি স্বাক্ষর করার আগে কেন প্রতিরক্ষা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির কোনও বৈঠক করা হয়নি? কংগ্রেস নেতা পবন খেরা দাবি করেছেন, রাফাল চুক্তির মতোই মোদি সরকার ড্রোন চুক্তির ক্ষেত্রেও দেশের স্বার্থ উপেক্ষা করেছে। কারণ এর পিছনেও রয়েছে বড়সড় দুর্নীতি।
আরও পড়ুন- ফাটল ধরা বাড়িতেই ফিরছেন জোশীমঠের অসহায় বাসিন্দারা