আসন্ন পুরভোটের আগেই ফের বঙ্গ বিজেপির (BJP) দলীয় দুর্নীতি সামনে এলো। ভোটে প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দিযা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দর মহলে তোলপাড়।
তিনি অভিযোগ করেন , গত বিধানসভা ভোটে (Assembly Election) প্রার্থী করে দেওয়া হবে, কিন্তুই তার বিনিময়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ডিমান্ড করা হয় পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে (Patashpur) বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি মানসরঞ্জন সামাইয়ের কাছে। এই টাকা হাতিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সহ সভানেত্রী মুক্তারুন বিবি।
আরও পড়ুন-মোদি সরকারের একটাই নীতি, আধিপত্যবাদ
ঠিক কী ঘটেছিল?
প্রতাড়িত মানস সামাইয়ের কথায়, “বিজেপির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার জন্য আমার কাছে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব এসেছিল বিধানসভা ভোটের সময়। কিন্তু প্রচুর টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়ার শর্ত হয়েছিল আমাকে। তাতে আমি রাজি হয়ে যাই। নিজের কাছে জমানো যা ছিল সরল বিশ্বাসে সব দিয়ে দিই। কিন্তু প্রার্থী হওয়ার জন্য সেটাও কম ছিল।
তারপর আমি অন্যদের কাছ থেকে ধার করে কয়েক লক্ষ টাকা জোগাড় করি। মোট পাঁচ দফায় মুক্তারুন বিবির হাতে তুলে দিয়েছি সবমিলিয়ে ২৩ লক্ষ টাকা। মধ্যস্থতা করেছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার এক নেতা। কিন্তু, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর দেখি কোথাও আমার নাম নেই। আমি টাকা ফেরত চাই। এখন সেই টাকা দিতে অস্বীকার করছেন মুক্তারুন বিবি ও কাঁথির ওই বিজেপি নেতা। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি জানিয়েছি।”
আরও পড়ুন-কারা ছিল তদন্ত কমিটিতে, কোথায় ভিডিও ফুটেজ, প্রশ্ন সুখেন্দুশেখরের
বিজেপি নেত্রী এভাবে এতগুলো টাকা হাতানোর পর হাতিয়ে নেওয়ার পর থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি মানস সামাই। শীর্ষ নেতৃত্বকে দেওয়া চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, টাকা ফেরৎ বা সুবিচার না পেলে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন। যার জন্য দায়ী থাকবে দলীয় নেতৃত্ব।