দেবর্ষি মজুমদার, শান্তিনিকেতন : স্বেচ্ছাচারী উপাচার্যের অধীনে বিশ্বভারতীর ‘অচলায়তন ভাঙো’, এই দাবিতে কয়েকশো ছাত্রছাত্রী লাগাতার বিক্ষোভ শুরু করলেন। মূলত দাবি তিনটি— হস্টেল ও ক্যান্টিন খোলা, অফলাইন পরীক্ষা বন্ধ করে অনলাইন পরীক্ষা নেওয়া এবং বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) নিজস্ব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বোর্ডের পরীক্ষার তারিখ পিছনো। ২৫ তারিখ নোটিশ দিয়ে সুযোগ বুঝে নাকি কেটে পড়েছেন উপাচার্য। আন্দোলন এড়াতেই পালিয়েছেন, দাবি পড়ুয়াদের। তাঁদের সাফ কথা, অনলাইনে আমাদের দাবি মেনে নোটিশ দিন, নাহলে কর্মসচিবকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘেরাও থাকতে হবে।
কোনও রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়াই সোমবার প্রথমে মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার সামনে জমায়েত হন পড়ুয়ারা। গেট ভাঙার চেষ্টা করলে নিরাপত্তাকর্মীরা তালা খুলে দিতে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়েন সবাই। পাঠভবনের গাছের তলায় ক্লাস বন্ধ করে সমস্ত ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। বন্ধ করা হয় বিজ্ঞানবিভাগ, শিক্ষাভবনের পঠন-পাঠন।
আরও পড়ুন – হস্টেল খোলার দাবিতে ফের ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্বভারতী
কর্মসচিবের ঘরে ঢুকে কর্মসচিব আশিস আগরওয়ালকে ঘেরাওয়ের মাধ্যমে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। কর্মসচিব নিজেও পড়ুয়াদের সঙ্গে মাটিতে বসে পড়েন। আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati) চত্বর। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের আবেদন জানান ছাত্রছাত্রী ঐক্যের সোমনাথ সৌ। গ্রন্থন বিভাগের পাশে একটা জায়গায় বেড়া কেটে সেখান দিয়ে সবাইকে প্রবেশ করতে বলা হয়। সোমনাথ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি সভাপতি মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের এই ঘেরাও কর্মসূচি অনির্দিষ্ট কালের জন্য চলবে। কোনও ভবনের ক্লাস হবে না। তালাও খোলা হবে না। যতক্ষণ না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কথা বলছেন।