অভিষেকের উদ্যোগে ত্রিপুরার অগ্নিদগ্ধ শিশু ভর্তি হল কলকাতার এসএসকেএম -এ

Must read

সদ্যোজাত আর্যর পরে এবার ত্রিপুরার সুপ্রতীক দে- তৃণমূলের (Trinamool Congress) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সাহায্যে সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত হল ১৫ মাসের শিশুর। গায়ে গরম জল পড়ে পুড়ে গিয়েছিল ছোট্ট শরীরের ৪০ শতাংশ। কিন্তু বিপ্লব দেবের ত্রিপুরার (Tripura) স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর এমনই হাল যে সন্তানের সঠিক চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না মা-বাবা। খবর যায় অভিষেকের কানে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের পাশে দাঁড়ান তিনি। তাঁর উদ্যোগেই সুপ্রতীককে কলকাতার এসএসকেএম-এ (SSKM) নিয়ে এসে ভর্তি করানো হয়।

ত্রিপুরার বাসিন্দা ১৫ মাসের সুপ্রতীক দে। গরম জল পড়ে শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল তার। শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। দিশেহারা পরিবার আগরতলা জুড়ে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবার সন্ধান করেও কার্যত কিছুই পায়নি। এই ঘটনা শোনা মাত্র দ্রুত উদ্যোগ নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Benarjee)। তাঁর তত্ত্বাবধানেই শিশুটিকে এসএসকেএম-এ নিয়ে আসা হয়। আইসিইউ-তে রেখে দ্রুত শুরু হয় চিকিৎসা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুটির ২টি রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট ভাল। এখনও পর্যন্ত শরীরে হওয়া সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে। তবে, সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। অভিষেকের এই অসামান্য উদ্যোগে আপ্লুত দে পরিবার। বাংলার একজন সাংসদ যেভাবে ত্রিপুরার শিশুর পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেটা তাদের কাছে অকল্পনীয়।

আরও পড়ুন – কলকাতা বই মেলায় ‘জাগো বাংলা’র স্টল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এর আগেও সদ্যোজাত রাজ্যের শিশুর চিকিৎসার যাবতীয় সাহায্য করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোট্ট আর্যর হৃদযন্ত্রে জটিল সমস্যা ছিল। স্টেন্ট বসানোর প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই খরচ বহন করার সামর্থ ছিল না মা-বাবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে কথা জানতে পারেন অভিষেক। এগিয়ে আসেন তিনি। মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে রেখে শিশুটির চিকিৎসা হয়। একমাস পরে সুস্থ করে বাড়ি ফিরে গিয়েছে সে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিরকৃতজ্ঞ আর্যর বাবা-মা।

বিজেপির নেতারা শুধু ভোট পাখি। ভোটের আগে এসে বড় বড় কথা বলে ভোট ফুরোলেই উধাও হয়ে যান। কিন্তু সারাবছর মানুষের পাশে থেকে, বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত জননেতা। তাঁর সাহায্যের কারণেই এক সুতোয় বাঁধা পরল বাংলা-ত্রিপুরা।

Latest article