কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর: কালীপুজোর দিন সুতি-১ ব্লকের বংশবাটি গ্রামের বাসিন্দারা একটু ভিন্নভাবে পালন করে থাকেন। শুধু কালীর পুজো হয় না। গ্রামের বিভিন্ন পাড়াতে আজ বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি পুজো হয়ে থাকে। আর সেই পুজো দেখার জন্য পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড এবং বিহার থেকে কয়েক হাজার মানুষ আসেন। সারারাত মানুষের ভিড় উপচে পড়ে।
আরও পড়ুন –ডার্বির জোর প্রস্তুতি লাল-হলুদে
গ্রামের ছ’টি পাড়ার মাত্র ছ’টি বাড়িতে কালীপুজো হয়। বাকি পাড়াগুলোতে বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা হয়ে থাকে। যেমন, শেয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা রাধাকৃষ্ণ এবং মৎস্যনারায়ণ দেবদেবীর পুজো করেছেন। ভুতাপাড়ার বাসিন্দারা অন্নপূর্ণা পুজো। নিচুপাড়ার বাসিন্দারা দক্ষযজ্ঞ, শিব-গণেশ এবং বিষ্ণু দেবতার পুজোর করছেন। বিদ্যামাতাপাড়ার কিছু যুবক আয়োজন করেছেন বড় গণেশ পুজো। পশ্চিম পাড়াতে হচ্ছে ভারতমাতা এবং বিশ্বরূপ দেবতার পুজো। তবে বংশবাটি গ্রামের সব থেকে বড় আকর্ষণ হাটতলার রাজেশ্বরী মন্দিরের প্রকাণ্ড ভৈরবের মূর্তি। প্রায় ৩৫ ফুট উচ্চতার। দেখার জন্য বহু লোক বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসেন। ভৈরব ‘দর্শনে’র পর আবার পুনরায় সেই দেবদেবীর মূর্তিগুলো নিজেদের পাড়ায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় পুকুরে বা বিলে বিসর্জন করা হয়। গ্রামের যাঁরা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন তাঁরা নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। পুজো উপলক্ষে জাজিগ্রামে বসে একটি বিশাল মেলা।