প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প অর্থনীতির সফল রূপায়ণের মধ্যে দিয়েই বাংলার প্রগতিকে আরও গতিশীল করে তুলবে রাজ্য। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগকে আরও প্রসারিত করাই এখন অগ্রাধিকার তালিকার প্রথমদিকে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রাজ্যের এই মনোভাব স্পষ্ট করে দিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কেন্দ্রের ভ্রান্ত অর্থনীতি যখন চরম সর্বনাশ ডেকে আনছে দেশের, ঠিক তখনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখাচ্ছে গোটা জাতিকে।
আরও পড়ুন-বিজেপির ৪ নেতা-নেত্রীর পদত্যাগ
গেরুয়া শিবিরের অর্থনীতিতে যখন বিপর্যয়ের আতঙ্ক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প অর্থনীতিতে তখন প্রগতির বার্তা। সামাজিক প্রগতির লক্ষ্যে এই অর্থনীতির সুফলকে সমাজের তৃণমূলস্তরে পৌঁছে দিতে আরও যত্নশীল হবে রাজ্য। সামাজিক ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেওয়া হবে বিশেষ উদ্যোগ। বিশেষ অগ্রাধিকার পাবে কাজের সুযোগ তৈরির পরিকল্পনা এবং তার সফল রূপায়ণ। জানালেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কথা হচ্ছিল রাজ্যের আগামীর পরিকল্পনা নিয়ে। তাঁর কথায়, বাম জমানায় বাংলার অর্থনীতি প্রকৃত অর্থেই চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল। বিরোধীনেত্রী হিসেবে তখন সেই বিপর্যয় থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের আর্থিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তীব্র লড়াই চালিয়েছিলেন। ২০১১তে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২২, এই ১১ বছরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেই অধিকারই সফলভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। বিশেষ করে, তাঁর আন্তরিকতায় মহিলাদের হাতে টাকা আসছে। তাঁরা সম্মানিত হচ্ছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, বিধবাভাতার মতো অজস্র সমাজকল্যাণ প্রকল্পে মহিলাদের হাতে টাকা আসছে। রাজ্যের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনিযুক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। তাঁদের উপার্জিত অর্থ সমৃদ্ধ করছে বাজার অর্থনীতিকে। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, বিগত বছরগুলির মতো নতুন বছরে আরও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নেবে রাজ্যের এই উদ্যোগ।
আরও পড়ুন-পঞ্চায়েতে বিপুল সমর্থন পাবে তৃণমূল
বৃহৎশিল্পে ইতিমধ্যেই দেশের এবং বিদেশের লগ্নিকারীদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠেছে বাংলা। অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের বিকাশকেও সামাজিক প্রগতির অঙ্গ হিসেবে তুলে ধরা হবে বিশ্বের দরবারে। আরও মসৃণ এবং প্রশস্ত হবে নতুন কর্মসংস্থানের পথ।