চমকে দেওয়া পরিষেবা, এবারের গঙ্গাসাগর আগের চেয়ে আলাদা

জেলা প্রশাসনের তরফে কিউআর কোডটি সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই কোড স্ক্যান করলেই যাবতীয় খুঁটিনাটি সব তথ্য পেয়ে যাবেন তীর্থযাত্রীরা।

Must read

প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে গঙ্গাসাগরের। উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গিয়েছে। ফলে এখন অন্য সব তীর্থের মতো গঙ্গাসাগরও বারবার যাচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের একের পর এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপে গঙ্গাসাগর মেলা বিশ্বের মানচিত্রে অন্যতম শ্রেষ্ঠত্বের তকমা পেয়েছে। এবারের গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীদের জন্য পরিষেবার ডালি আরও বড়।

আরও পড়ুন-রমাপ্রসাদ ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান

শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠকের পর জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ২২৫০টি সরকারি বাস, ২৫০টি বেসরকারি বাস, ৬টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ, ২১টি স্থায়ী-অস্থায়ী জেটির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কার্গো ভেসেলের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এছাড়া ৬৬টি অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে। কোনও প্রকার দুর্ঘটনা যাতে না হয়, তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন-মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ পর্ষদের

রাজ্যের তরফে এবার রাস্তায় ফগ লাইটের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। আলোর ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে যেমন ফুড সেফটি অফিসারেরা থাকবেন, তেমনি ৬০ লক্ষ জলের পাউচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবাতেও জোর দিয়েছে রাজ্য। পুণ্যার্থীদের জন্য ৭টি বড় হাসপাতাল ও ৫টি অস্থায়ী হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাসপাতালে থাকছে ৩০০ বেডের ব্যবস্থা, থাকছে এমার্জেন্সি কেয়ার ইউনিট। এছাড়া ১২টি পয়েন্টে থাকবে চিকিৎসক-সহ মেডিক্যাল টিম। পিজি, এনআরএস ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। থাকছে ১০০টির বেশি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। থাকছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও। দুর্ঘটনা এড়াতে থাকবে ২৪০০ সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার্স। সেজন্য ৫০টি বাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছে টেম্পোরারি ফায়ার স্টেশনে ৫০টির বেশি দমকল ইঞ্জিন।

আরও পড়ুন-তফসিলিদের জন্য আইআইটির বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির রাজ্যের

এ ছাড়া পুণ্যার্থীদের সহায়তায় স্যাটেলাইট ট্রেকিং ও জিপিএস ট্রেকিং ব্যবস্থায় ইসরোর উপগ্রহ পরিষেবাও মিলবে। ১১৫০টি সিসিটিভি ও ২৩টি ড্রোনে নজরদারি চালাবে পুলিশ। তীর্থযাত্রীদের জন্য থাকছে বিশেষ কিউআর কোডের ব্যবস্থা। কিউআর কোড স্ক্যান করলেই সংশ্লিষ্ট তীর্থযাত্রীর বর্তমান অবস্থান, তাঁর আশপাশে থাকা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এটিএম-সহ বিভিন্ন পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য মিলবে। জেলা প্রশাসনের তরফে কিউআর কোডটি সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই কোড স্ক্যান করলেই যাবতীয় খুঁটিনাটি সব তথ্য পেয়ে যাবেন তীর্থযাত্রীরা।

আরও পড়ুন-ফের বাংলা বিরোধী আচরণ, সাধারণতন্ত্রে বাতিল কন্যাশ্রী ট্যাবলো

এদিকে, ড্রেজিংয়ের জন্য আরও একটি ড্রেজার আনা হচ্ছে। সোমবার থেকে তা কাজ শুরু করবে। এবার মোট তিনটি ড্রেজার কাজ করবে। জেলাশাসক বলেন, নতুন যে চর দেখা গিয়েছে তা ৫ জানুয়ারির মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ড্রেজারগুলি থাকবে অকুস্থলে।

Latest article