গত শনিবার ৯/১১ জঙ্গি হামলার ২০ তম বার্ষিকী পালন করেছে আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ। আর এই দিনে এক মেমো প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যাতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার সৌদি আরবের হাত ছিল। স্বাভাবিকভাবেই এই মেমো প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে।
আরও পড়ুন-মোদি জমানায় ঋণের বোঝায় জর্জরিত কৃষক
বাইডেন প্রশাসনের তরফে যে মেমো প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেখানে নাম রয়েছে ওমর বায়ুমির। সেই সময় বায়ুমির পরিচয় একজন ছাত্র হিসেবে থাকলেও , সরাসরি তার যোগ ছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলার মূল চক্রী আল-কায়দার সঙ্গে। একই সঙ্গে সৌদি আরবে গোয়েন্দা কর্মী হিসেবেও ওমর বায়ুমি কাজ করত বলে মনে করা হচ্ছে। ওয়াশিংটন থেকে চারটি বিমান হাইজ্যাকে ওমর বায়ুমির বিশেষ ভূমিকা ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে। অভিযুক্ত এই ওমর বায়ুমিকে শনাক্ত করেছে একটি সূত্র। ২০০৯ ও ২০১৫সালে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তার সঙ্গে ওমর বায়ুমির পরিচয় ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। নথিতে বায়ুমির সঙ্গে আরও দুই বিমান ছিনতাইকারী নওয়াজ আল হাজমি ও খালিদ আল মিডহারের মধ্যে যোগাযোগের পূর্ণ বিবরণ দেওয়া হয়েছে। লস এঞ্জেলেসের কিং ফাদ মসজিদের রক্ষণশীল ইমাম আর সেখানের সৌদি কনস্যুলেটের এক কর্তা ফাহাদ আল থুমাইরির সঙ্গে বিমান ছিনতাইকারীদের যোগাযোগ ছিল বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে। আর এইসব রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই সন্দেহের নজর ঘুরেছে সৌদি আরবের দিকে।
আরও পড়ুন-প্রকৃতি ধ্বংস, বিপন্ন প্রজাতি, খাদের কিনারে সাঁতারু উট
আমেরিকার প্রকাশিত মেমোতে বলা হয়েছে সন্দেহভাজনদের টেলিফোন নাম্বার খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে স্পষ্ট বায়ুমির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জঙ্গিদের। মেমোতে বলা হয়েছে হামজি আর মিধাকে নিয়োগ করা হয়েছিল বায়ুমিকে সাহায্য করার জন্য । মূলত থাকার ব্যবস্থা করা, আর্থিক সহযোগিতা করার আর প্রয়োজনে অনুবাদক জোগাড় করে দেওয়া।