মোদি জমানায় ঋণের বোঝায় জর্জরিত কৃষক

Must read

পূর্ণেন্দু রায়, নয়াদিল্লি : প্রতিশ্রুতি ছিল কৃষকের আয় দ্বিগুণ হবে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করাটাই মোদি-শাহ জমানার ইউএসপি। আর সেই ইউএসপি মেনেই কৃষকের আয় দ্বিগুণ হওয়ার পরিবর্তে মোদি জমানায় কৃষকরা আরও বেশি করে ঋণে জর্জরিত হচ্ছে। অর্থাৎ কৃষি উৎপাদনের খরচ বাড়ছে, আয় কমছে, কৃষক পরিবারগুলির বাজারে ঋণ বাড়ছে। দেশের প্রতি কৃষি পরিবারের গড় বকেয়া ঋণ ২০১৮ সালে ৫৭.৭ শতাংশ বেড়ে ৭৪,১২১ টাকা হয়েছে। যদিও বিজেপি শাসিত অসম ও ত্রিপুরায় কৃষক পরিবার পিছু বকেয়া ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ৩৮২ এবং ৩৭৮ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার এক বছর আগে কৃষক পরিবার পিছু ঋণ ছিল ৪৭,০০০ টাকা।

আরও পড়ুন- ‘ত্রিপুরায় বাড়ছে এনার্জি, আসছে অভিষেক ব্যানার্জি’

এই তথ্য নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্পনাপ্রসূত নয়। খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের সর্বশেষ ফলাফলে এই তথ্য সামনে এসেছে। শতাংশের হিসাবে ১৬টি রাজ্যে জাতীয় গড় ৫৭.৭ শতাংশের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে ১০টি রাজ্যে ১০০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে— মিজোরাম (৭০৯ শতাংশ), অসম (৩৮২ শতাংশ), ত্রিপুরা (৩৭৮ শতাংশ), সিকিম (২২৫ শতাংশ), হিমাচল প্রদেশ (২০৬ শতাংশ), নাগাল্যান্ড (১৯১ শতাংশ), জম্মু ও কাশ্মীর (১৪৯ শতাংশ), মধ্যপ্রদেশ (১৩১ শতাংশ), হরিয়ানা (১৩১ শতাংশ) এবং ছত্তিশগড় (১১০.২৩ শতাংশ)। ২০১৩ থেকে ২০১৮ এর মধ্যে, প্রতি কৃষি পরিবারের গড় বকেয়া ঋণ ২৫টি রাজ্যে ১৩.৫২ শতাংশ থেকে ৭০৯ শতাংশের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনটি রাজ্য—তামিলনাড়ু (-৮ শতাংশ), মণিপুর (-৯ শতাংশ) এবং অরুণাচল প্রদেশ (৩৪ শতাংশ)—পরিবার পিছু ঋণের পরিমাণ কমেছে।

আরও পড়ুন-প্রকৃতি ধ্বংস, বিপন্ন প্রজাতি, খাদের কিনারে সাঁতারু উট

টাকার অঙ্কে জাতীয় গড় বকেয়া ঋণ ২০১৮ সালের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে যেখানে ছিল ৭৪,১২১ টাকা, সেখানে অন্ধ্রপ্রদেশে সর্বোচ্চ ২.৪৫ লক্ষ টাকা এবং নাগাল্যান্ডে সর্বনিম্ন ১,৭৫০ টাকা ছিল। দেশের যে ২৮টি রাজ্যের জন্য তথ্য পাওয়া গেছে, তার মধ্যে ১১টি রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, হিমাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশ— জাতীয় গড়ের তুলনায় প্রতি পরিবারে গড় বকেয়া ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি ছিল ২০১৮ সালে। তিনটি রাজ্যে— অন্ধ্রপ্রদেশ (২.৪৫ লক্ষ টাকা), কেরল (২.৪২ লক্ষ টাকা) এবং পাঞ্জাব (২.০২ লক্ষ টাকা); পাঁচটি রাজ্যে ১ লক্ষ টাকার বেশি— হরিয়ানা (১.৮২ লক্ষ টাকা), তেলেঙ্গানা (১.৫২ লক্ষ টাকা), কর্নাটক (১.২৬ লক্ষ টাকা), রাজস্থান (১.১৩ লক্ষ টাকা) এবং তামিলনাড়ু (১.০৬ লক্ষ টাকা) গড় ঋণ বকেয়া রয়েছে।

Latest article