প্রতিবেদন: আফগানিস্তান নিয়ে বিপরীত চিত্র দুই দেশে । মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই আফগানিস্তান নিয়ে ডিগবাজি খেল বেজিং। তালিবানদের সমর্থনের কথা জানাল তারা। অন্যদিকে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমেরিকায় চলছে তীব্র বিক্ষোভ। চিনের শি জিন পিং সরকার জানাল, তারা তালিবানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যে মুগ্ধ শ্রাবন্তী, পোস্ট করলেন জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছেন, চিন সব সময় যে কোনও দেশের মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতাকে সম্মান জানায়। সেই কারণে তারা আফগান জনতার অধিকার ও স্বাধীনতাকেও সম্মান জানাবে। তাই তারা আফগানিস্তানের নতুন শাসকের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখবে। অথচ মাত্র এক সপ্তাহ আগে চিন-ভারতের সুরে সুর মিলিয়েই বলেছিল, তালিবানরা যদি শক্তির সাহায্যে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে দেশের ক্ষমতা দখল করে তবে তারা সেই সরকারকে সমর্থন করবে না। কিন্তু নিজেদের ঘোষিত অবস্থান পাল্টে ফেলতে মাত্র এক সপ্তাহ সময় নিল এই কমিউনিস্ট দেশ। বেজিংয়ের বক্তব্য, বিনা রক্তপাতে আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। সে দেশের প্রেসিডেন্ট নিজেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। তাই নতুন সরকারকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে তাদের কোনও সমস্যা নেই।
আরও পড়ুন- সেরা ফালাকাট কৃষক বাজার, হিমঘরের প্রস্তাব জাপানের
অন্যদিকে আমেরিকার প্রবাসী আফগানরা নিজেদের দেশের পরিস্থিতির জন্য আমেরিকাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। রবিবার বিকেল থেকেই হোয়াইট হাউসের বাইরে প্রবাসী আফগানরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে চলে স্লোগান। হোয়াইট হাউসের সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড ও দেশের পতাকা নিয়ে বহু মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা বাইডেনকে বিশ্বাসঘাতক বলেও উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন- “বাবাকে ঋণের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ”
আমেরিকায় থাকা আফগান সাংবাদিক হামদর্ফ গফুরি বলেছেন, তাঁরা ফের দুই দশক আগের তালিবানি শাসনে ফিরে যাচ্ছেন। দেশ আবার পিছনের দিকে হাঁটবে। তালিবানরা ক্ষমতায় আসার পর সে দেশে হাজার হাজার ওসামা বিন, লাদেন মোল্লা ওমর তৈরি হবে। আগামী দিনে তালিবানরা গোটা দুনিয়ার পক্ষেই অভিশাপ হয়ে উঠবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন গফুরি। তালিবানি শাসনে দেশের নারীদের সুরক্ষা নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এই সাংবাদিক।
আরও পড়ুন- মিথ্যে অভিযোগে ধৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা জামিন পেলেন, টুইট কুণাল ঘোষের
বিক্ষোভকারীদের সুরে সুর মিলিয়ে বাইডেনের নিন্দায় সরব হয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের দাবি, আজ যদি তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট পদে থাকতেন তবে আফগানিস্তানের এই দুরাবস্থা হতো না। বাইডেনকে আরও একবার কটাক্ষ করে বলেন, রিগিং করে অন্য কেউ ক্ষমতা দখল না করলে আজ দুনিয়া অন্যরকম এক আফগানিস্তান দেখতে পেত। সে কারণেই আমি ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই আফগানিস্তানের নির্বাচিত সরকার আস্তাকুঁড়ে স্থান পেল। একটা দেশের ক্ষমতা দখল করল জঙ্গিরা। আমেরিকার পক্ষে যা কখনোই নিরাপদ নয়।