প্রতিবেদন : শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হল আমেরিকার সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক। প্রবল আর্থিক মন্দার কারণে এই ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। সে কারণেই ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। তবে ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যাঙ্কের গচ্ছিত অর্থ অধিগ্রহণ করেছে সরকার। ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখার খবরে গ্রাহকদের মধ্যে প্রবল উদ্বেগ ছড়ায়। তবে সরকার ওই ব্যাঙ্কের গচ্ছিত অর্থ অধিগ্রহণ করায় কিছুটা হল আশ্বস্ত হয়েছে মানুষ। ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের সঞ্চিত অর্থ ফেরত দেওয়ার ভার নিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল ডিপোজিট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন-আর কত দেখব! ডিএ প্রাপ্তি সাংবিধানিক অধিকার হল কবে?
সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক আমেরিকার ষোড়শ বৃহত্তম। ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী প্রবল আর্থিক মন্দার পর ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় এটাই সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যাঙ্ক বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুক্রবারই ওই ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথিপত্র অধিগ্রহণ করেছে ক্যালিফোর্নিয়া প্রশাসন। দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টার টানটান নাটকের পর সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ককে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করা হয়। গত কয়েকদিন ধরেই এই ব্যাঙ্কের শেয়ার দেওয়ার হু হু করে পড়ছিল। সে কারণেই ব্যাঙ্কের আর্থিক পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হয়েছে।
আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশেও বুলডোজারের শাসন!
জানা গিয়েছে, প্রযুক্তিভিত্তিক স্টার্টআপ সংস্থাগুলিতেই এই ব্যাঙ্ক বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার কমাতে গত বছর থেকেই সুদের হার বাড়াতে শুরু করে ফেডারেল রিজার্ভ। এর ফলে বন্ডের দর কমে যায়। করোনাজনিত পরিস্থিতির পর স্টার্টআপ সংস্থাগুলোর আর্থিক পরিস্থিতিও অত্যন্ত নড়বড়ে হয়ে পড়ে। ফলে ব্যাঙ্ক থেকে গ্রাহকরা তাঁদের সঞ্চিত অর্থ তুলে নিতে শুরু করেন। গ্রাহকদের টাকা মেটাতে এই ব্যাঙ্ক নিজেদের শেয়ারও বিক্রি করতে থাকে। ফলে অচিরেই তাদের মজুতের ভাঁড়ারেও টান পড়ে। গত কয়েকদিনে সিলিকন ভ্যালি প্রায় ২০০ কোটি ডলার খুইয়েছে বলে জানা যায়। তারপরই ওই ব্যাঙ্ককে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করা হল।