নয়াদিল্লি : একে কনকনে ঠান্ডা, সেইসঙ্গে তার দোসর ঘন কুয়াশা। শৈত্যপ্রবাহের জেরে কার্যত জবুথবু অবস্থা রাজধানী দিল্লির (Delhi-Cold- Eviction notice)। জনজীবন বিপর্যস্ত। রবিবার মরশুমের শীতলতম দিনের সাক্ষী থাকল দিল্লি। তাপমাত্রা নেমে যায় ১.৯ ডিগ্রিতে। প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কমই বের হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দিল্লির পাশাপাশি গোটা উত্তর ভারতই ঠান্ডায় কাঁপছে। এদিকে, তীব্র ঠান্ডার মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ধৌলাকুঁয়া সার্কেলের এক বস্তির বাসিন্দাদের, পনেরো দিনের মধ্যে এলাকা খালি করে নির্দিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নোটিশ জারি হয়েছে। পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট একটি উচ্ছেদ নোটিশ (Delhi-Cold- Eviction notice) জারি করে এই নির্দেশ দিয়েছে। বস্তির বাসিন্দাদের অভিযোগ, আসন্ন জি-২০ সম্মেলনের প্রস্তুতির কারণেই তাঁদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। যদিও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলছেন এটি দখল অপসারণ অভিযানের অংশ। পিডব্লিউডি অফিসের জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে, বস্তিবাসীদের তিন মাসের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। যদিও তা কোন জায়গায়, তার উল্লেখ নেই। নোটিশে বলা হয়েছে, বস্তি খালি করা না হলে পুলিশ লাগিয়ে উচ্ছেদ হবে। এদিকে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, আগামী ২৪ ঘন্টায় জোরদার উত্তুরে হাওয়া বইবে। রবিবার মৌসম ভবনের তরফে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ এই অবস্থা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। রাজধানীতে ঘন কুয়াশা এবং শৈত্যপ্রবাহ জারি থাকবে বলে পূর্বাভাস। আবহাওয়া দফতরের হিসাবে, গত ১০ বছরে তৃতীয়বার জানুয়ারি মাসে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামল তাপমাত্রা। পাশাপাশি প্রবল কুয়াশার জেরে ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবা। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা কমে ৫০ মিটারে পৌঁছেছে। বিমানের উড়ান ও অবতরণে সমস্যা হওয়ায় ভোরের দিকের বেশিরভাগ বিমান বাতিল করা হয়েছে। বেলার দিকেও ঘন কুয়াশার জেরে একাধিক বিমানের সময় পরিবর্তন করা হয়। দৃশ্যমানতা কমায় বাতিল হয়েছে ৮৮টি ট্রেন। বিলম্বে চলাচল করছে ৩৩৫টি ট্রেন। পাশাপাশি ৩১টি ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হয়েছে এবং ৩৩টি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।