আজকে বেকারত্বের হার ৮ শতাংশ। ৩ কোটি বেকার। এই বাজেটে তাদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কিছু বলা হয় নি। ১৪ শতাংশ ইনফ্লেশন। কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ৬ শতাংশে পৌঁছেছে। এসব বিষয়ে বাজেটে কিছু বলা হয় নি। পৃথিবীতে কোনো দেশ নেই যেখানে একসঙ্গে এই দুটো বেড়েছে। ১.২ কোটি চাকুরীজীবী চাকরি হারিয়েছেন এই সময়কালে। জিডিপি গ্রোথ হবে ৮-৮.৫ শতাংশ ইকনমিক সার্ভে বলছে। কিন্তু মাননীয়া অর্থমন্ত্রী বলছেন ৯.২ শতাংশ হবে।
কোনটা ঠিক ?
আরও পড়ুন-সাধারণ মানুষের জন্য বাজেট শূন্য, তীব্র কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কি করে ধার শোধ (কেন্দ্রের) করা হবে সেই বিষয়ে বাজেটে কোনো দিশা নেই।
সেঞ্ট্রাল স্পন্সর স্কিম যেটা রাজ্য পায়, তা বাড়ানো হয় নি।
গ্রামের মানুষের জন্য ফার্ম ইনকাম, কোনো স্কিম নেই।
স্যালারিড মিডিল ক্লাসের জন্য কোনো কথা নেই। ৯৮ হাজার কোটি থেকে কমিয়ে ৭৩ হাজার কোটি করা হলো মহাত্মা গান্ধী রুরাল ডেভলপমেন্ট (১০০ দিনের কাজ)খাতে। ফলে গ্রামের মানুষের রোজগারে হাত পড়লো।
এটা কার জন্য বাজেট ?
থটলেস বাজেট, শুধু বড়বড় কথা।
রাজ্যকে এক লক্ষ কোটি সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু সেখানে এত কন্ডিশন রেখেছেন যে সেটা ব্যবহার করতে পারবে না রাজ্যগুলো।
রাজ্যগুলিকে ধার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেখানেও কন্ডিশন রাখা হয়েছে।
রাজ্যের ঘাড়ে ধার চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ধার নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু সেটাকে রাজ্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা করা হচ্ছে কারণ এই ধার কেন্দ্রের ফিসকাল ডেফিসিটে যাতে তা না দেখানো যায়। কেন্দ্র রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ধার নিলে সেটা সব রাজ্যের ঘাড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ৫৩ টি পিএসইউর ইক্যুইটি বেঁচে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা রোজগার করেছে এই খাতে।
আন্ডারগ্রাউন্ড সেল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-করোনার হাত থেকে বাঁচতে গোমূত্র পানের নিদান দিয়েছিলেন – তবে এবার নিজেই কোভিড আক্রান্ত বিজেপির প্রজ্ঞা
মানুষের হাতে পয়সার যোগানের বিষয়ে গত দুবছরে কিছু করা হয় নি, এবারেও কিছু করা হলো না। কারণ কি ? সারা পৃথিবী এই কোভিডের সময় মানুষের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে যাতে মার্কেটে চাহিদা বাড়ে। কিন্তু এখানে এরা কিছুই করে নি।
পরিকাঠামো তৈরি করতে তো কম সে কম তিনচার বছর সময় লাগবে। ততদিন মানুষের রোজগারের কি হবে ?
সাপ্লাই চেইন ভেঙে দিয়েছে এই সরকার ডিমানিটাইজেশন, জিএসটি করে।
বেরোজগারি, ইনফ্লেশন কে মোকাবিলা করার মতো কিছুই নেই এই বাজেটে।
জিএসটি কমপেনসেশন এর ক্ষেত্রে (১৪ শতাংশ এর কম এসজিএসটি হলে) পাঁচ বছরের কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু তখন তো আমরা কেউ কোভিড জানতাম না। এই কোভিডের ফলে সারা বিশ্বই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনবছর ধরে এটা চলছে। তাহলে কেন পাঁচ বছরের সেই সময় টা বাড়ানো হবে না ?
আরও পড়ুন-পুত্রশোক ভুলে বউমার বিয়ে দিলেন শ্বশুর, অন্যরকম বিয়ে দেখল হলদিয়া
অক্টোবর’২১ অবধি জিএসটি খাতে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে যেটা দেয় নি।
কেন্দ্রের এত বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের মানুষের জন্য উন্নয়নমূলক সব কাজই করবে।
যে টাকা কেন্দ্র কর হিসাবে রোজগার করে তার ৪১ শতাংশ সব রাজ্যের মধ্যে ভাগ করে দিতে হয়। এই খাতে গত অর্থবছরে আমাদের পাওনা ছিলো ১১ হাজার কোটি টাকা। সেটাও দেয় নি।
যারা উজালা নামক স্কিম নিয়েছিলো তারা এখন পস্তাচ্ছে। এমনকি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোরও একই অবস্থা।
সেন্ট্রাল স্পনসর স্কিমে এতদিন ছিলো রাজ্য দশ শতাংশ ও বাকিটা কেন্দ্র দেবে। কিন্তু অরুণ জেটলির পরবর্তী সময়ে এটা রাজ্যের দশ শতাংশ বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। কেন রাজ্যের ঘাড়ে এই অতিরিক্ত বোঝা চাপানো হয়েছে ?