প্রতিবেদন : স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে রাজ্যপালের চায়ের আমন্ত্রণে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ অগাস্টের সন্ধ্যায় আমন্ত্রিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট নাগরিকরা। ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অনুষ্ঠান শুরু হয় ঠিক বিকেল ৫টায়। মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে আসেন ৪টে ৫৫ নাগাদ। শুরু হয় সৌজন্য বিনিময়। ছিলেন বিদেশি নাগরিকেরা। অন্যান্য রাজ্যের বিশিষ্টরা। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে তাঁরা এগিয়ে আসেন। ৫টায় রাজ্যপাল আসেন। জাতীয় সংগীতের পরেই রাজ্যপাল ঘুরে ঘুরে আপ্যায়ন শুরু করেন।
আরও পড়ুন-প্রয়াত কিংবদন্তি ভারতীয় ফুটবলার মহম্মদ হাবিব
অন্যদিকে তখন মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে বিশিষ্টদের আলাদা একটি ঘেরাটোপ তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেখানে শিল্পপতি, শিল্পী, গায়ক, কেন্দ্র ও রাজ্যের আমলা এবং অফিসাররা ছিলেন। রাজ্যপাল যখন আপ্যায়নে ব্যস্ত তখন মুখ্যমন্ত্রী চলে আসেন রাজভবনের বারান্দায়। সেখানে যন্ত্রশিল্পীরা অসাধারণ সংগীত উপস্থাপনা করছিলেন। সংগীতপ্রেমী মুখ্যমন্ত্রী যন্ত্র সংগীত শুনতে শুনতেই আপন খেয়ালে রাজভবনের বারান্দার পাঁচিলে বসে পড়েন। সুরের মূর্ছনায় তিনি তখন আপ্লুত। যন্ত্র সংগীত একটু থামতেই মুখ্যমন্ত্রী শিল্পীদের সঙ্গে আলাপ করতে শুরু করেন। বলেন, অসাধারণ লাগছে। বিশেষত বাঁশি বাদককে বলেন, বড্ড শক্ত বাজনা। মুখ শুকিয়ে যায়। জল খেয়েছেন তো?
আরও পড়ুন-প্রয়াত ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সচিব
মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উৎসাহিত হয়ে ফের সুরের মূর্ছনা। তিনি যখন শিল্পীদের উৎসাহিত করছেন, তখন রাজ্যপাল লক্ষ্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারান্দার রেলিংয়ে বসে সংগীত উপভোগ করছেন। সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী লক্ষ্মীকে সেখানে পাঠান। ইতিমধ্যে সরকারি অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে এসেছে। ৫টা ৪৩ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রীকে ভিতরে আসতে অনুরোধ করলেন রাজ্যপাল। জাতীয় সংগীত গেয়ে ৫টা ৪৫মিনিটেই অনুষ্ঠান শেষ। বেরিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। দেশি-বিদেশি বিশিষ্টরা তখনও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। তাঁদের অনুরোধ মেটাতে মেটাতেই রাজভবন ছাড়লেন তিনি। রাজভবনে বিশিষ্ট অতিথিদের মাঝে তারকা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীই।