প্রতিবেদন : যুদ্ধাপরাধের কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টে ভ্লাদিমির পুতিনের (President Vladimir Putin) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)। পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন সে দেশের শিশুদের বেআইনি ভাবে নির্বাসনে পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে। তবে দ্য হেগের আদালত পুতিনের (President Vladimir Putin) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না মস্কো।
হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারপতিরা প্রথমে এই পরোয়ানাকে গোপন রাখার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে তা প্রকাশ্যে আনার সিদ্ধান্ত হয়। বিচারকরা মনে করছেন, এই পরোয়ানা প্রকাশ্যে আনা হলে আগামী দিনে এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ কমবে। তবে মস্কো এই গ্রেফতারি পরোয়ানাকে গুরুত্বই দিচ্ছে না। তাদের দাবি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ওই আদালতের আওতায় পড়েন না। তাই আইসিসির জারি করা পরোয়ানার কোনও অর্থ নেই। রুশ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, রাশিয়া ওই আদালতের বিচারের আওতায় পড়ে না। তাই আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত কী বলল তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। প্রত্যাশিত ভাবেই আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে ইউক্রেন ও আমেরিকা।
আরও পড়ুন: সাইক্লোনে মৃত ৩৫০
ইউক্রেনের এক সেনা আধিকারিক ট্যুইট করেন, এই সবে শুরু। যুদ্ধাপরাধের দায়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার বাইডেন বলেন, আইসিসি যুদ্ধাপরাধের মোকাবিলায় সঠিক এবং দৃঢ় পদক্ষেপ করেছে। কোনও সন্দেহ নেই ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় পুতিনের ভূমিকা রয়েছে। তবে দ্য হেগের আদালতের এই নির্দেশে পুতিনের উপর চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।