সংবাদদাতা, কাটোয়া : মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের প্রামাণ্য জীবনীগ্রন্থ ‘শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’র স্রষ্টা কৃষ্ণদাস কবিরাজের জন্ম কেতুগ্রামের ঝামটপুরে। তাঁর রচিত অমূল্য পুঁথি, খড়ম ও আরাধ্য দেবতা মদনমোহন অবহেলায় পড়ে থেকে নষ্ট হতে বসেছে। কৃষ্ণদাসের তিরোভাব দিবসে আয়োজিত কীর্তনমেলায় যোগ দেওয়া বৈষ্ণব ভক্ত থেকে কবির বংশধররা সেগুলির যথাযথ সংরক্ষণের দাবি জানালেন। দাবিটিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে আশ্বাস কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজের।
আরও পড়ুন-টোল-কর্মীদের মার জওয়ানদের
বৃন্দাবনের বৈষ্ণবাচার্যদের অনুরোধে প্রায় ৮০ বছর বয়সে চৈতন্যদেবের জীবনী লিখতে শুরু করেন কৃষ্ণদাস, ১৫৯০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ। শেষ হয় আনুমানিক ১৬১৫-এ। তিনটি খণ্ডে ৬২ অধ্যায়ে বিভক্ত ১২০৫১টি শ্লোকসমৃদ্ধ চৈতন্যজীবনী বৃন্দাবনের শ্রীজীব গোস্বামীর নির্দেশে শ্রীনিবাস আচার্য, শ্যামানন্দ ও নরোত্তম দাসের মাধ্যমে বৃন্দাবন থেকে নবদ্বীপে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পথে দস্যুরা সব লুট করে নেয়। শ্রীনিবাস হাম্বির রাজার দরবারে গিয়ে চৈতন্যকথা-সহ মনোহরশাহি কীর্তন শুনিয়ে রাজাকে সন্তুষ্ট করে সেই পুঁথি উদ্ধার করেন। প্রায় চারশো বছর কৃষ্ণদাসের জন্মভিটেয় পুঁথি, খড়ম ও মদনগোপালের বিগ্রহ সযত্নে রক্ষিত। কৃষ্ণদাসের জন্মভিটে বৈষ্ণবপ্রাণ মানুষের কাছে পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। আশ্বিন মাসে
শুক্লা দ্বাদশী তিথি থেকে কৃষ্ণদাসের তিরোভাব দিবস উপলক্ষে চারদিন ধরে শতাব্দীপ্রাচীন কীর্তনমেলায় লাখো মানুষের জমায়েত হয়।