সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : দার্জিলিং পুরসভায় নিজেদের দখলে নিল অনিত থাপা। হামরো পার্টি থেকে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতন্ত্রিক মোর্চাতে যোগদান করল ৫ জন কাউন্সিলার। রিতেশ পোর্টেলের পরিবর্তে পাহাড়বাসী পেতে চলেছে নতুন চেয়ারম্যান। এক বছর না হতেই বৃহস্পতিবার বদলে গেল দার্জিলিং পুরসভার সমীকরণ। দার্জিলিং পুরসভায় অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি ছেড়ে অনিতের হাত শক্ত করলেন পাঁচ কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন-ম্যাচ বাঁচিয়েও বিতর্কে কুর্তোয়া
হামরো পার্টি ছেড়ে পাঁচ কাউন্সিলর যোগ দিলেন অনিতের দল ভারতীয় প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায়। এদিন কার্শিয়াংয়ে এসে অনিতের দলে যোগদান করেন হামরো পার্টির কাউন্সিলর ১৩ নাম্বার ওয়ার্ডের স্মরণ কুমার ছেত্রী, ১৯ নাম্বার ওয়ার্ডের সিতম লামা, ২ নাম্বার ওয়ার্ডের দীপেন্দ্র ঠাকুরি, ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের গণেশ প্রধান,৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণু মাল্লা, ওয়ার্ড নাম্বার ছয় দোরজে লামা। জানা গিয়েছে হামরো পার্টির ছয় ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দর্জি লামার যোগদানের কথা থাকলেও অকস্মাৎ পিতৃবিয়োগের ঘটনায় তিনি এদিন যোগদান অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। তবে তার সমর্থন রয়েছে সে কথা জানাচ্ছে ভারতীয় প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা।
আরও পড়ুন-মেসি বনাম ওচোয়া ম্যাচের আগে গন্ডগোল সমর্থকদের
৩২টি আসন নিয়ে দার্জিলিং পুরসভা। বিগত মার্চ মাসে নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময়তে ১৮টি আসন নিজেদের দখলে নিয়ে দার্জিলিং পুরসভার বোর্ড গঠন করে এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। প্রথমবার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে পাহাড়ে একচ্ছত্র আধিপত্য স্থাপন অনেকেটা মিরাকেল হয়েই ধরা দেয়। তবে বোর্ড গঠনের পর থেকেই কার্যকারিতার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল কাউন্সিলরদের বলেই এদিন ক্ষোভ উগরে দিলেন নির্বাচিত কাউন্সিলরেরা। হামরো পার্টি থেকে ৬ কাউন্সিলর যোগদান করায় তৃণমূলের দুই কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এসে ভারতীয় প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। অবশেষে অনিতের হাতে এবারে দার্জিলিং পুরসভা।
আরও পড়ুন-৫ ডিসেম্বর দিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী, ডিসেম্বরে রয়েছে মেঘালয় সফর
যোগদান পর্বের পর সংবাদমাধ্যমকে ভারতীয় প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা অনিত থাপা বলেন, নতুন বোর্ড গঠনের বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব। দলীয় সেন্ট্রাল কমিটির মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি জানেন তৃণমূল নির্বাচনী লড়াইয়ের সময় থেকে আমাদের সমর্থন জানিয়েছিল। ফলত স্বাভাবিকভাবেই বোর্ডে তৃণমূলের সমর্থন রয়েছে আমাদের দিকে। তৃণমূলের সঙ্গে আমরা আগেও যৌথভাবে লড়েছি আগামীতেও একসঙ্গেই লড়ব। এদিকে চেয়ারম্যানের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।