প্রতিবেদন : ২০২২ সালের মে মাসে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে আদানি সংস্থার অনিয়ম প্রকাশের আট মাস আগেই মরিশাসের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস কমিশন (এফএসসি) ইমার্জিং ইন্ডিয়া ফান্ড ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের (ইআইএফএম) ব্যবসা এবং বিনিয়োগ লাইসেন্স প্রত্যাহার করেছিল।
আরও পড়ুন-ভারতের স্বাধীনতা ইতিহাসের অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি, বন্ধ হচ্ছে সেই ইন্ডিয়া ক্লাব
মরিশাস-ভিত্তিক দুটি তহবিল, যারা তালিকাভুক্ত আদানি সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করেছিল, সেই দুটি তহবিলের নিয়ন্ত্রণকারী শেয়ারহোল্ডার ইআইএফএম। মরিশাসে আর্থিক অনিয়ম ও নিয়মভঙ্গের অভিযোগে এখন তদন্তের অধীনে রয়েছে ইআইএফএম৷ এফএসসি এনফোর্সমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্তে ইআইএফএম-এর বিরুদ্ধে অর্থ পাচার রোধ এবং কর্পোরেট আইনের বিভিন্ন বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে। ১২ মে, ২০২২-এ লাইসেন্স প্রত্যাহার বিজ্ঞপ্তিতে এফএসসি জানায়, ইআইএফএম আর্থিক পরিষেবা আইন, সিকিউরিটিজ অ্যাক্ট, আর্থিক বুদ্ধিমত্তা এবং অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং রেগুলেশনস (২০০৩ এবং ২০১৮) এবং কোড অন দ্য প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসবাদী অর্থায়নের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করেছে।
আরও পড়ুন-এক দেশ এক ভোট খরচের ধাক্কা আকাশছোঁয়া
গত মাসে সাংবাদিকদের একটি কনসোর্টিয়াম অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট (ওসিআরপি)–এর নথির ভিত্তিতে, ব্রিটিশ দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস দাবি করেছে, অজানা উৎস থেকে আদানি গোষ্ঠীর বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনা হয়েছে। মরিশাস-ভিত্তিক যে তহবিলগুলি থেকে আদানি সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করা হয়েছিল সেগুলি এখন তদন্তের অধীনে৷ এনফোর্সমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্তে অভিযোগ করা হয়েছে, ইআইএফএম আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নিয়ম এবং কর্পোরেট সংক্রান্ত আইনি গাইডলাইন লঙ্ঘন করেছে।