এক দেশ এক ভোট খরচের ধাক্কা আকাশছোঁয়া

মোদি সরকারের এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত।

Must read

প্রতিবেদন : মোদি সরকারের এক দেশ, এক নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। এই পরিপ্রেক্ষিতে এক সমীক্ষায় উঠে এল নির্বাচনী খরচ সংক্রান্ত তথ্য। আর তাতেই চোখ কপালে উঠেছে সবার। সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিজের প্রধান তথা নির্বাচন ও নির্বাচনী খরচ সংক্রান্ত বিখ্যাত সমীক্ষক ও লেখক এন ভাস্কর রাও দাবি করেছেন, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি কার্যকর করতে গেলে প্রায় দশ লক্ষ কোটি টাকা একদফাতেই খরচ হতে পারে। যদিও সেখানে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের খরচ হবে মাত্র ২০ শতাংশ।

আরও পড়ুন-মমতায় মাতল বার্সেলোনা, ভারতীয় নাচে-গানে অভ্যর্থনা, পড়া শেষে পড়ুয়াদের দেশে ফেরার ডাক

বোঝাই যাচ্ছে, বিজেপি সরকার এই নীতির পক্ষে প্রচার করতে গিয়ে খরচ কম হওয়ার যে অজুহাত খাড়া করছে তা আদতে ভাঁওতা। এই নতুন নীতি প্রয়োগ হলে খরচের ধাক্কা কী পরিমাণ বাড়াতে চাইছে, তা এই সমীক্ষার মাধ্যমেই স্পষ্ট। অর্থাৎ দেশের মানুষকে ফের ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন, সব রাজনৈতিক দলের তরফে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ২০২৪ সালের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আনুমানিক ১.২০ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে বলে দাবি করেছেন ভাস্কর রাও। যদিও এর মধ্যে প্রচারে অনেকটা টাকা ব্যয় হবে বলে সমীক্ষায় বলা হয়েছে। এর মধ্যে নয়া ইভিএমের খরচ ধরা হয়নি।

আরও পড়ুন-বিশেষ অধিবেশনে রোজই থাকছেন অভিষেক, বলবেন সিইসি বিল নিয়ে

এবার যদি দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে এর সঙ্গে খরচ হবে আরও তিন লক্ষ কোটি টাকা। দেশের ৫০০ পুরসভার নির্বাচন একসঙ্গে আয়োজন করা হলে আরও আনুমানিক এক লক্ষ কোটি টাকা এবং ৬৫০টি জেলা পরিষদ, ৭ হাজার পঞ্চায়েত সমিতি, ২.৫ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন একসঙ্গে হলে খরচ হবে ৪.৩০ লক্ষ কোটি টাকা। তাহলে সব মিলিয়ে হিসেব করলে খরচ হচ্ছে প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকা। অতএব খুব স্বাভাবিকভাবেই খরচ কমাতে এক দেশ এক নির্বাচনের পক্ষে যে সওয়াল করছে বিজেপি, তার বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

Latest article