ফের কোটায় নিট পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

কোটার প্রতাপ চৌরাহা এলাকার একটি পেয়িং গেস্ট আবাসনে থাকা ওই ছাত্রী তার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।

Must read

রাজস্থানের (Rajasthan) কোটায় ফের আত্মঘাতী হলেন এক নিট পরীক্ষার্থী! রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের ১৮ বছর বয়সী এক ছাত্রী আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছে বলে খবর। কোটার প্রতাপ চৌরাহা এলাকার একটি পেয়িং গেস্ট আবাসনে থাকা ওই ছাত্রী তার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। কোটা যেকোন রকম প্রতিযোগিতামূলক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির কেন্দ্রস্থল। কিন্তু সেখানেই বারংবার ছাত্রদের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এটি এই বছর ১৬ তম ঘটনা। ডাক্তারি এবং প্রযুক্তিবিদ্যার প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে পড়ুয়ারা কোটায় পড়তে যান। সেখানে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাঁরা। জম্মুর এই তরুণীও কোটায় একটি কোচিং সেন্টারে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন-পালামৌয়ের জঙ্গলে নিকেশ মাওবাদী কমান্ডার, গ্রেফতার আরও এক

মহাবীর নগর থানায় কর্তব্যরত সার্কেল ইন্সপেক্টর রমেশ কাভিয়া এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, জিশান নামে ওই ছাত্রী এমন একটি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তাঁর এক আত্মীয়ের সাথে কথা বলেছিলেন এবং তাকে জানিয়েছিলেন যে তিনি আত্মহত্যা করার চিন্তা করছেন। সেই আত্মীয় জানিয়েছেন ফোন পেয়ে পেয়িং গেস্ট আবাসনে বসবাসকারী আরেক ছাত্রকে ফোন করে তিনি জিশানের খোঁজ নিতে অনুরোধ করেন। সেই বন্ধু জিশানের ঘরে পৌঁছানোর পর ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে বাকিরা ছুটে আসে। অবশেষে দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। জিশানকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন-পাহাড়ে বৃষ্টি শুরু হতেই ভূমিধস! আতঙ্কে বাসিন্দারা

কোটায় নিট এর প্রস্তুতি নিতে এই প্রথমবার আসা নয় তাঁর। এর আগেও তিনি শহরেই থাকতেন এবং মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য একটি কোচিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছিলেন। মাত্র এক মাস আগে তিনি নিজে পড়বে বলেই সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ জানিয়েছে, জিশানের ঘরে আত্মহত্যা রোধ করার যন্ত্র লাগানো ছিল না। এই যন্ত্রগুলি একটি মোটা স্প্রিং-জাতীয় যন্ত্র, যেটি ফ্যানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। উল্লেখ্য, গত ৩রা মে ডাক্তারিতে প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট)-র আগের রাতেই রাজস্থানের কোটায় আত্মঘাতী হয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের শেওপুর এলাকার বাসিন্দা এক পরীক্ষার্থী। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এতগুলো তাজা প্রাণ চলে যাওয়ার পরেও সরকারের তরফে কোনরকম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ কেন নেওয়া হচ্ছে না? পরীক্ষার্থীদের আলাদা কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা নিয়ে কথা হলেও সেটা বাস্তবায়িত কেন হচ্ছে না এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।

Latest article