জামতাড়ার মতোই একটি গ্যাং প্রশ্ন ফাঁসের চক্রান্ত করেছিল। এই অসাধু চক্রের গ্যাংকে ধরা গিয়েছে। সোমবার মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁসের চক্রান্ত নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মাধ্যমিক পরীক্ষার সোমবার ছিল শেষদিন। সেদিনই পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে ব্রাত্য বসু জানালেন, যেভাবে প্রশ্নফাঁসের চক্রান্ত করা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ আটকানো গিয়েছে পর্ষদের তৎপরতায়।
ব্রাত্য বসু জানান, প্রশ্নফাঁস রুখতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। আগে দেখতাম মোবাইলে ছবি তুলে বাইরে পাঠাত। তারপর বোর্ড আর রাজ্যের বিরুদ্ধে কুৎসা শুরু হত। এই অসাধু চক্রের গ্যাংকে ধরা গিয়েছে। মিথ্যা প্রচার, কালিমালিপ্ত করার প্রবণতা আটকে গেছে। আগামী দিনে শিক্ষা দফতর অমীমাংসিত বিষয় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন- ভুয়ো জবকার্ডে দেশের শীর্ষে যোগী রাজ্য, বিধানসভায় তথ্য দিয়ে বিজেপিকে লজ্জায় ফেললেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী
ব্রাত্যর সংযোজন, কীভাবে প্রশ্নফাঁস আটকানো যায় এই নিয়ে ২০টা বৈঠক করেছি পর্ষদের সঙ্গে।এরপরেই আলোচনা করে ঠিক হয় কিউআর কোড ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই উদ্যোগের জন্যই অভিসন্ধিমূলক প্ররোচনা রুখতে পেরেছি। পরিকল্পনা করে পরীক্ষার্থীরা এই কাজ করেনি। বাইরের গ্যাং এটা করাচ্ছিল। এদের উদ্দেশ্য ছিল প্রশ্ন ভাইরাল করে দেওয়া। এতে কোনও পরীক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছিলেন না।
জানা গিয়েছে, এবারে মোট ৩৬ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ৩৭টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৩ জনই মালদহের। মালদহের এক গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ব্রাত্য বসু জানান, পর্ষদ যদি শিক্ষা দফতরকে কোনও কোচিং সেন্টারের তালিকা দিতে পারে যেখান থেকে এই ধরনের অসাধু কাজ করা হচ্ছিল তাহলে জেলা প্রশাসনকে বলে সেই কোচিং সেন্টারগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হবে।