প্রতিবেদন : এতদিনে ঘুম ভাঙল অভিনেত্রীর? আবার মরশুমি পাখির মতো উদয় অপর্ণা সেনের? এত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে এতদিন ধরে। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার মাত্রা অতিক্রম করতে চলেছে বিপদসীমা। প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। সদ্যপ্রাক্তন রাজ্যপালের তুঘলকী আচরণে তিতিবিরক্তি ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বস্তরে। উদ্বেগ স্পর্শ করেছিল সাধারণ মানুষকেও। তখন কোথায় ছিলেন অপর্ণা সেন? কেন প্রতিবাদ শোনা যায়নি তাঁর মুখে।
আরও পড়ুন-ইলামবাজারে ১০০ দিনের কাজ, রাজ্যের কাজে প্রশংসা কেন্দ্রের
শুক্রবার হঠাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনা নিয়ে তিন ট্যুইট করে বসলেন কী মনে করে? কেন বললেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে মুখরক্ষার চেষ্টা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আসল উদ্দেশ্যটা কী তাঁর? সুযোগ বুঝে এই বয়সে আবার প্রচারের আলোয় ভেসে ওঠা? কী বলা যায় একে, অপর্ণা সেনের দ্বিচারিতা? দুর্নীতির সঙ্গে যে কোনওভাবেই আপস নয়— এই কঠোর অবস্থান প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করেছে দল।
আরও পড়ুন-চোরের মায়ের বড় গলা
বৃহস্পতিবারই তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের প্রতিটি পদ এবং দলীয় মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’র সম্পাদক পদ থেকেও তাঁকে অপসারণের দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের এই কঠোর অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও। মূল্যবোধের রাজনীতি কাকে বলে, তা দেখিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু মানুষকে বিস্মিত করেছে অভিনেত্রী অপর্ণা সেনের অসংলগ্ন মন্তব্য। শুক্রবার সমালোচনার ঝড়ের মুখে পড়েছে তাঁর এই অদ্ভুত মন্তব্য। আসলে কখন কীভাবে প্রচারের আলোয় ভেসে উঠতে হয় তা ভালই বোঝেন অভিনেত্রী। লোভটা ছাড়তে পারেননি বার্ধক্যের দ্বারপ্রান্তে এসেও।