উদাসীন রেল, জখম ও নিখোঁজের পরিবারের পাশে রাজ্য

ওডিশা থেকে পশ্চিমবঙ্গের বহু হাসপাতাল ও মর্গে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন পরিবারের লোক। তাঁদের ছোট্ট মেয়ে কিছু বুঝে উঠতে পারছে না

Must read

সংবাদদাতা, কাঁথি : ওড়িশার করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ভগবানপুরের বলরামচকের হারাধন বেরা রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্য পেলেও, এ বিষয়ে কেন্দ্রের রেল এখনও নিষ্ক্রিয়। পটাশপুরের মানপুর গ্রামের মানস মাইতি এই দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ। পূর্ব মেদিনীপুরের এই দুই পরিবার কেন্দ্রের রেল দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন। হারাধন অনেকটা সুস্থ হলেও চিকিৎসা চলবে আরও কিছুদিন। হাঁটুতে চোট আছে। চিকিৎসকরা বলেছেন ফের এক্স-রে করে হাঁটুর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। হারাধনবাবুর দাবি, রাজ্যের তরফে নগদ ৬০ হাজার টাকা ছাড়াও চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-নিশীথের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

কলকাতা গিয়ে আর্থিক সাহায্যের চেক নিয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু রেলের তরফে কিছু পাবেন কিনা তা নিয়ে অন্ধকারে তিনি। রাজ্যের সাহায্য পেয়ে যতটা খুশি, ততটাই ক্ষুব্ধ রেল দফতরের উদাসীনতায়। অভিশপ্ত করমন্ডল দুর্ঘটনার পর কেটে গেছে অনেকগুলো দিন। কিন্তু মানস মাইতির পরিবার অচল। স্ত্রী সুদেষ্ণা আজও বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন। শেষবার স্বামীর সঙ্গে কথা হয় ফোনে। ট্রেন বালেশ্বরের বাহানাগায় পৌঁছলে হঠাৎ ফোন কেটে যায়। তারপর থেকে আর খোঁজ নেই।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় বাহিনীর তীব্র অত্যাচারে এখনও আতঙ্ক মতুয়ানগরীতে

ওডিশা থেকে পশ্চিমবঙ্গের বহু হাসপাতাল ও মর্গে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন পরিবারের লোক। তাঁদের ছোট্ট মেয়ে কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। সংসারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন মানস। তাঁদের আত্মীয় সোমারানি ঘোড়ুই বলেন, ‘মানসকে না পেলে ওর স্ত্রী আর মেয়েকে কে দেখবে? রেল দফতর কোনও সাহায্যই করেনি।’ তবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে পটাশপুর ২ ব্লকের বিডিও শঙ্কু বিশ্বাস বলেন, ‘যতদিন না খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে, আমরা ওই পরিবারের পাশে আছি। কোনও অসুবিধা হলেই আমাদের জানাতে বলেছি।’

Latest article