নয়াদিল্লি : মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়কে স্বাগত জানালেন দুই প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশে বলেছে, তিন সদস্যের একটি কমিটি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবে। এই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং দেশের প্রধান বিচারপতি থাকবেন।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের বিষয়ে দুই প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, আদালতের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা সম্পর্কে জনগণের ধারণাকে বাড়িয়ে তুলবে।
আরও পড়ুন-ভারতীয় রাজনীতির অন্তরাত্মা বহুত্ববাদ
এক সময় নির্বাচন কমিশনার ছিলেন এস ওয়াই কুরেশি। ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন কুরেশি। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কুরেশি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের একটি অমীমাংসিত দাবি পূরণ হয়েছে। আমরা ২০ বছর ধরে এই দাবি করে আসছিলাম। আশা করি, আদালতের পরামর্শ অনুযায়ী সরকার বিষয়টি সংসদে নিয়ে যাবে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ও পি রাওয়াত। ২০১৮-র জানুয়ারি থেকে ২০১৮-র ডিসেম্বর পর্যন্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছিলেন রাওয়াত। সুপ্রিম নির্দেশ সম্পর্কে রাওয়াত বলেছেন, এই নির্দেশ আদালতের সেরা পদক্ষেপ। এই নির্দেশের ফলে সরকারের কাছে দুটি বিকল্প থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সিবিআই ডিরেক্টর নিয়োগের ধাঁচে একটি কমিটি গঠন করা অথবা একটি আইন তৈরি করা। যেভাবেই হোক সরকারের ওপর কাজ করার চাপ থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশ নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও ভাবমূর্তি আরও বাড়াবে।
আরও পড়ুন-রসরাজ
বর্তমান নির্বাচন কমিশনার অনুপচন্দ্র পাণ্ডের মেয়াদ শেষ হলে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, তিন সদস্যের এক কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে নাম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম সুপারিশ করবে। রাষ্ট্রপতি ওই নামে সিলমোহর দেবেন। আদালত তার আদেশে স্পষ্ট বলেছে, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত আইন সংসদ প্রণয়ন না করা পর্যন্ত চলতি প্রক্রিয়া বলবৎ থাকবে।