প্রতিবেদন : পুজোর মরশুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তৎপর রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ। পাশাপাশি বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে গদ্দার অধিকারীকে নিশানা করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন-১৭ই হবে সর্বদল বৈঠক
সাংবাদিক বৈঠকে রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিদ্যুৎ পরিষেবা ও ট্যারিফ বৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের কুৎসা ও মিথ্যাচারের জবাবও দেন তিনি। বিদ্যুৎমন্ত্রী দাবি করেন, তথাকথিত ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির তুলনায় বাংলায় যা অনেক কম। যেখানে ২০১৬ সালের পর থেকে অসম, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ট্যারিফ অনুযায়ী বিদ্যুতের দাম ক্রমাগত বেড়েছে, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আমলে ট্যারিফ অনুযায়ী কোনও দাম বৃদ্ধি হয়নি। এই সরকার মানবিক সরকার। এই সরকার মা-মাটি-মানুষের কথা ভাবে।
আরও পড়ুন-অন্যের ক্ষতি না করে পর্নোগ্রাফি দেখা অপরাধ নয়: কোর্ট
বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতি (অ্যাবেকা) যে বিদ্যুৎ বিল বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে, তাদের সেই দাবিও উড়িয়ে দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। বিদ্যুৎ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গৃহস্থ হোক, কৃষি কিংবা শিল্প— কোনও ক্ষেত্রেই গ্রাহকের উপর বাড়তি বিলের বোঝা চাপেনি বাংলায়। ফিক্সড কস্ট-এর উপর বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে গ্রাহকের বিল বাড়লেও, বাংলায় কোনও গ্রাহকের বিলে তার প্রভাব পড়েনি। বিরোধিতার জন্যই বিরোধীরা মিথ্যা রটনা করছে। বিদ্যুৎ দফতরের আরও দাবি, মিটার অনুসারে সকলের কাছে বিল গিয়েছে।
আরও পড়ুন-মিডিয়া ট্রায়াল রুখতে কঠোর সুপ্রিম কোর্ট, গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ কেন্দ্রকে
এবার অত্যাধিক গরমের মরশুমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। সে কারণেই কিছু ক্ষেত্রে বিল বেড়েছে বলে মনে হলেও, তা সম্পূর্ণ মিটার অনুযায়ী হয়েছে। তবে কোনও গ্রাহকের মিটারে কোনও সমস্যা থাকলে অভিযোগের ভিত্তিতে তা পরীক্ষা করে সুরাহা করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।