বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনায় মৃত হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ আরমানের বাড়িতে গিয়ে সোমবার তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়। তাঁদের সমবেদনা জানান। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের পাশে থেকে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন মন্ত্রী। সেইসঙ্গে দলের তরফ থেকেও তাঁদের আর্থিক সাহায্য করা হবে বলেও সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় জানান। পাশাপাশি বালেশ্বরে কার্যত বিনা চিকিৎসায় পড়েছিলেন দক্ষিণ হাওড়ার বাসিন্দা কুমার রায় (৫০)। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের প্যান্টিকারে রান্না করতেন। অভিশপ্ত ওই ট্রেনে ছিলেন কুমার। ট্রেন দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছিলেন দক্ষিণ হাওড়ার বাকসাড়া গর্ভমেন্ট কলোনির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। দুটি পা ভেঙে যায়। চিকিৎসা হচ্ছে না জানতে পেরেই কুমারের পাশে দাঁড়ান এলাকার বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরি। তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য তিনি হাওড়া থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠান। সেই অ্যাম্বুল্যান্সেই বালেশ্বর থেকে হাওড়ায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় জখম কুমারকে। তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিধায়ক ব্যক্তিগতভাবে কুমারের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেন আর্থিক সাহায্য দেন।
আরও পড়ুন- নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা সাহায্য