প্রতিবেদন : দুর্যোগ নিয়েও কেন্দ্রের নোংরা রাজনীতি। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দুপুরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় বৈষম্য দেখে আমি হতবাক, আমরা ভিক্ষুক নই কিন্তু বৈষম্য চাই না।’ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও উদয়ন গুহ-সহ একাধিক প্রতিনিধি কালিম্পংয়ে পৌঁছন। সিকিম সংলগ্ন তিস্তাবাজার অঞ্চলের দুর্যোগে ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে যান তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের পথের কাঁটা বিজেপির রাজনৈতিক চাপ, মন্ত্রীদের মিথ্যাচার, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফে তৈরি করা তিনটি রিলিফ ক্যাম্পও ঘুরে দেখেন। এই ক্যাম্পগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার-জামাকাপড়-পানীয় জল-বেবি ফুড ও ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, জিটিএ প্রধান অনিত থাপা ও প্রাক্তন সাংসদ শান্তা ছেত্রী-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আজ রবিবার বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাবেন সকলে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এদিকে, জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। আটকে-পড়া পর্যটকদের যাতে সুষ্ঠুভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সেই দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপর্যস্ত উত্তর। পাহাড়ের এই দুর্যোগের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবারই নবান্নে আসেন জিটিএ প্রধান অনিত থাপা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকও করেন তিনি। তিস্তার হড়পা বানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। এরপরই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে পাহাড়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কালিম্পংয়ে হড়পা বানে বিধ্বস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলে গোটা বিষয়টি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন। ইতিমধ্যেই দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একাধিক স্পেশাল টিম এই মুহূর্তে উত্তরে উদ্ধারের কাজ করছে।