ঘুষ নিতে গিয়ে ৪০ লক্ষ সমেত গ্রেফতার, বিজেপি বিধায়ক-পুত্রের বাড়িতে রাশি-রাশি টাকা

বিজেপি বিধায়ক মাদল বিরূপাক্ষপ্পা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কর্নাটক সোপ অ্যান্ড ডিটারজেন্ট লিমিটেডের (কেএসডিএল) চেয়ারম্যান।

Must read

প্রতিবেদন : না খায়ুঙ্গা না খানে দুঙ্গা। বক্তা প্রধানমন্ত্রী। অথচ তাঁর দলের বিধায়কের ছেলে হাতেনাতে ধরা পড়ল ঘুষ নিতে গিয়ে! ঘটনাটি কর্নাটকের। দাক্ষিণাত্যের রাজনীতি তোলপাড় এই ঘটনায়। কর্নাটকের লোকায়ুক্ত আধিকারিকরা ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় বিজেপি বিধায়ক এম বিরূপাক্ষপ্পার ছেলেকে এক্কেবারে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে। একইসঙ্গে শুক্রবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে আরও প্রায় ৬ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। লোকায়ুক্তের দুর্নীতিদমন শাখা এই অভিযান চালিয়েছে। এত বড় ঘটনা ঘটলেও এখনও পর্যন্ত সিবিআই বা ইডির তরফে কোনও ‘মুভমেন্ট’ চোখে পড়েনি।

আরও পড়ুন-সূর্যর স্ট্র‍্যাটেজি সভায় বিজেপির সহসভাপতি, ফের বাম-বিজেপি আঁতাঁত এল প্রকাশ্যে

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশ্ন, কোনও বিজেপি-বিরোধী দলের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মাঠে নামতে বেশি সময় লাগত না। যেহেতু একজন বিজেপি বিধায়কের ছেলে ধরা পড়েছে ঘুষ নিতে গিয়ে তাই বিষয়টি নিয়ে হইচই হোক চাইছে না বিজেপি। এই ঘটনায় মুখ পুড়েছে বিজেপির। এরপর কী বলবেন বাংলার সবজান্তা দলবদলু বিজেপি নেতারা?

আরও পড়ুন-এই যে অধীর আপনাকে বলছি শুনুন

বিজেপি বিধায়ক মাদল বিরূপাক্ষপ্পা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কর্নাটক সোপ অ্যান্ড ডিটারজেন্ট লিমিটেডের (কেএসডিএল) চেয়ারম্যান। এটি বিখ্যাত মহীশূর স্যান্ডেল সাবান তৈরি করে। তাঁর ছেলে বেঙ্গালুরু ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যুয়ারেজ বোর্ডের প্রধান হিসাবরক্ষক। লোকায়ুক্ত সূত্রের মতে, প্রশান্ত প্রশান্ত মাদলকে তার বাবার কার্যালয় কর্ণাটক সোপ অ্যান্ড ডিটারজেন্ট লিমিটেড, বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যেখানে তিনি ঘুষ গ্রহণ করছিলেন। লোকায়ুক্ত পুলিশ জানিয়েছে, প্রশান্ত ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। প্রশান্তের বাবা কর্ণাটকের দাভাঙ্গের জেলার চান্নাগিরির বিধায়ক এবং কেএসডিএল-এর চেয়ারম্যান। সূত্র জানায়, প্রশান্তের কাছ থেকে তিনটি ব্যাগে নগদ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-দুই কন্যার কথা

প্রশান্ত ২০০৮ ব্যাচের কর্ণাটক অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অফিসার, সাবান এবং অন্যান্য ডিটারজেন্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কেনার চুক্তির জন্য ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় ধরা পড়েন। তিনি ৪০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। জনৈক ঠিকাদার এক সপ্তাহ আগে লোকায়ুক্তের কাছে এই অভিযোগ করেছিল, এরপরেই প্রশান্তকে হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। একজন ঊর্ধ্বতন লোকায়ুক্ত আধিকারিকের বক্তব্য, কাঁচামাল কেনার জন্য কেএসডিএল চেয়ারম্যান বিরূপাক্ষপ্পার তরফে এই টাকা গৃহীত হয়েছিল।

Latest article