প্রতিবেদন : রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বেআইনিভাবে সমন জারি। এই কারণ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার ইডির দফতরে গেলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (ED- Arvind Kejriwal)। সকালেই বিবৃতি দিয়ে ইডিকে তাদের নোটিশ প্রত্যাহারের দাবি জানান কেজরিওয়াল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে চিঠি দিয়ে আপ সুপ্রিমো বলেছেন, বিজেপির নির্দেশে ভোটের আগে প্রচারপর্ব থেকে বিরত রাখতেই এভাবে সমন পাঠানো হয়েছে। আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় তাঁকে পাঠানো ইডির সমন অবৈধ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
জানা গিয়েছে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সঙ্গে মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে সিঙ্গরৌলিতে যান তিনি।
বুধবারই কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল আম আদমি পার্টির তরফে। এরপর ইডিকে দেওয়া চিঠিতে কেজরিওয়ালও (ED- Arvind Kejriwal) বলেছেন, ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় ইডি থেকে যখন সমন পান তিনি, সেসময় বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন কেজরিওয়ালকে এবার গ্রেফতার করা হবে। কেজরিওয়ালের অভিযোগ, এর থেকেই প্রমাণ হয় যে পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইডিকে লেখা চিঠিতে কেজরির প্রশ্ন, কেন আমাকে সাক্ষী হিসাবে বা সন্দেহভাজন হিসাবে ডাকা হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। দ্বিতীয়ত, আমাকে কেন উল্লিখিত মামলায় তলব করা হয়েছে তারও বিশদ বিবরণ নেই।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দিল্লিতে ফের ইডির সক্রিয়তা দেখা গিয়েছে। আম আদমি পার্টির নেতা তথা দিল্লির ক্যাবিনেট মন্ত্রী রাজকুমার আনন্দের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেইসঙ্গে দিল্লির আরও ৯টি জায়গায় ইডি তল্লাশি চালায়। কাস্টমস দুর্নীতি ও তার সঙ্গে জড়িত হাওয়ালা সংক্রান্ত মামলায় এই তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে।